জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল


আগন্তুক আলেয়া , আপডেট করা হয়েছে : 26-07-2024

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল

ক্যানসারের সঙ্গে তার লড়াই এক যুগেরও বেশি সময় ধরে। দেশ ও বিদেশে চলছিলো নিয়মিত চিকিৎসা। পাশাপাশি জিইয়ে রেখেছিলেন নিজের সৃষ্টিশীলতা। কিন্তু এর সবটুকু ছাপিয়ে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও নির্মাতা হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল এখন রয়েছেন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে; লাইফ সাপোর্টে।

ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শিল্পীকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জুয়েলের স্ত্রী সংগীতা আহমেদ। যিনি নিজেও একজন জনপ্রিয় সঞ্চালক ও সংবাদপাঠিকা।

বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে (২৫ জুলাই) জুয়েলের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সংগীতা আহমেদ জানান, অক্টোবর থেকে তাকে প্যালিয়েটিভ কেয়ারে রাখা হয়েছিল। এর মধ্যে সম্প্রতি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাত থেকে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।

জুয়েলের জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছে তার পরিবার।

জানা গেছে, ২০১১ সালে জুয়েলের লিভার ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর ফুসফুস এবং হাড়েও সেটি সংক্রমিত হয়।

৯০ দশকের জমজমাট অডিও ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম চমক হিসেবে ধরা দিয়েছেন হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। আইয়ুব বাচ্চুর সুরে প্রথম অ্যালবাম ‘কুয়াশা প্রহর’ প্রকাশ হয় ১৯৯৩ সালে। প্রথম অ্যালবামেই বাজিমাত করেন জুয়েল। এরপর একে একে প্রকাশিত হয় ‘এক বিকেলে’ (১৯৯৪), ‘আমার আছে অন্ধকার’ (১৯৯৫), ‘একটা মানুষ’ (১৯৯৬), ‘দেখা হবে না’ (১৯৯৭), ‘বেশি কিছু নয়’ (১৯৯৮), ‘বেদনা শুধুই বেদনা’ (১৯৯৯), ‘ফিরতি পথে’ (২০০৩), ‘দরজা খোলা বাড়ি’ (২০০৯) এবং ‘এমন কেন হলো’ (২০১৭)। এছাড়াও বেশ কিছু সিঙ্গেল ও মিশ্র অ্যালবামে গেয়েছেন জুয়েল।

সংগীতশিল্পী হিসেবে তিনি এখনও সর্বাধিক পরিচিত হলেও তার আরও একটি বড় পরিচয় টেলিভিশন অনুষ্ঠান ও তথ্যচিত্র নির্মাতা হিসেবে।


অফিস: নিউ ইস্কাটন রোড, মগবাজার, ঢাকা-১০০০

ইমেইল : info@trendnewsbd.com