১৯ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৪:২০:৫৭ অপরাহ্ন


আর খেলবেন না মাশরাফী
সোহেল জুলফিকার
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০২৪-০২-১৫ ২১:১১:৫২
আর খেলবেন না মাশরাফী মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা


বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক সফল অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। তার নেতৃত্বে বিপিএলের নবম আসরে ফাইনাল পর্যন্ত গিয়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। এবারের বিপিএল টাও তার নেতৃত্বে শুরু করেছিল সিলেটের দলটি। তবে এবার আর আগের মতো মাশরাফী ম্যাজিক কাজ করছে না।

একের পর এক ম্যাচ হারতে থাকায় বেশ সমালোচনার শিকার হন মাশরাফী। শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক দায়িত্ব পালনের জন্য সাময়িকভাবে বিপিএল থেকে সরে দাঁড়ান ক্যাপ্টিন। দল অবশ্য জানিয়েছিল, সময় পেলে আবারও ফিরবেন ম্যাশ। তবে জানে গেলো, মাঠে আর ফিরছেন না টাইগারদের জনপ্রিয় এই অধিনায়ক।

গত ৩১ জানুয়ারি যখন বিপিএল থেকে সাময়িক বিরতিতে যান মাশরাফী তখনই অনুমান করা হচ্ছিল, এবারে আর হয়ত সিলেটের জার্সিতে ফিরছেন না তিনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসন থেকে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর জাতীয় সংসদের হুইপের দায়িত্ব পেয়েছেন মাশরাফী।

খেলার মাঠে ফিটনেস ছাড়াই নেমে ব্যাপক সমালোচিত হওয়ার পর জানান, রাজনৈতিক দায়িত্ব পালনের ইচ্ছার কথা। অগত্যা বিপিএল থেকে সাময়িক বিরতি। সিলেট স্ট্রাইকার্সের অধিনায়কত্ব সহঅধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের হাতে তুলে দিয়ে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি।

সিলেট স্ট্রাইকার্স সে সময় বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, যদি রাজনৈতিক দায়বদ্ধতার বাইরে সময় দিতে পারেন সেক্ষেত্রে চলতি বিপিএলেই আবার দেখা যাবে মাশরাফীকে। চারবারের শিরোপা জেতা অধিনায়ককে কৃতজ্ঞতাও জানায় সিলেট। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জানা গেল, এবারের বিপিএলে আর ফিরছেন না মাশরাফী।

সিলেট স্ট্রাইকার্সের কোচ রাজিন সালেহ তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে এখনই ক্রিকেট ছেড়ে দিচ্ছেন না মাশরাফী। আগামী বছর বিপিএলে এই সাবেক অধিনায়ককে ফের দেখা যাবে বলে জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সিলেটের হেডকোচ রাজিন সালেহ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ওর আসলে চান্স খুবই কম। সত্যি কথা বলতে অফিস নিয়ে ও ব্যস্ত। যেহেতু সে এখন পারবে না হয়তো পরবর্তী বছর সে ভালোভাবে কামব্যাক করবে।’

এবারের আসরে মাশরাফী সিলেটের হয়ে প্রথম ৫টি ম্যাচ খেলেন। এই পাঁচ ম্যাচের কোনটিতে নিজের চার ওভার স্পেল পূর্ণ করেননি তিনি, আবার কোনটিতে বোলিংই করেননি। পাঁচ ম্যাচে উইকেট নেন মাত্র ১টি। যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। পাঁচ ম্যাচের প্রতিটিতিই তার দল হারের মুখ দেখে।