বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন এখন আলোচনা ও উন্মাদনা শীর্ষে। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে চলচ্চিত্র শিল্প সংশ্লিষ্টদের মাঝে উত্তেজনা। ইতোমধ্যেই নতুন-পুরোনো অনেক তারকারই নির্বাচনের পুরো প্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন। এরই মধ্যে নির্বাচনের নতুন তারিখ চূড়ান্ত হয়েছে।
এবারের বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে নাম এসেছিল বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা অনন্ত জলিলের। নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে খুব জোরেশোরে গুঞ্জন উঠেছিল। তবে বিষয়টি খোলাসা করেন অনন্ত নিজেই। তিনি জানান, তাকে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রস্তাব দেওয়া হলেও তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন।
অনন্ত জলিল বলেন, 'ব্যবসা সামলাতে হয়। নির্বাচন করার মতো পর্যাপ্ত সময় নেই। যাদের হাতে সিনেমা নেই, তারাই নির্বাচন করে। প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু, মোহাম্মদ হোসেনসহ নিপুণ ম্যাডাম আমাকে সভাপতি হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু আমি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন করছি না। কারণ, আমি সেখানে সময় দিতে পারব না।'
তিনি বলেন, 'আমাকে ব্যবসায় সময় দিতে হয় প্রচুর। তার মধ্যেই সময় বের করে শুটিং করি সিনেমার। কিন্তু নির্বাচন করতে হলে তো সময় দিতে হবে। কারণ, সময় না দিলে কোনো ক্ষেত্রেই সফল হওয়া সম্ভব না। সে কারণে আমি বিনীতভাবে সভাপতি হওয়ার প্রস্তাব নাকচ করেছি। যেই নির্বাচনই করি না কেন, সেখানে সার্বক্ষণিক সময় দিতে হবে। আর সেই সময়টা আমার কাছে নেই।'
এ নায়ক আরও বলেন, 'নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর যে ক্ষমতাটা আসে সেই ক্ষমতায় দাঁড়িপাল্লার চেয়ে অপব্যবহারটা বেশি করা হয়, এ কারণে নির্বাচনে অনেকেই সমালোচিত হয় বলে আমি মনে করি।'
এবারের নির্বাচনে এক প্যানেলে থাকবেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল ও মিশা সওদাগর। অন্যদিকে ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিদায়ী কমিটির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন। সেকারণেই হয়তো অনন্ত জলিলের ওপর ভর করতে চেয়েছিলেন বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার।
প্রসঙ্গত, এরই মধ্যে আসন্ন নির্বাচনের প্রধান কমিশনার ও আপিল বিভাগ চূড়ান্ত হয়েছে। এবারের নির্বাচনে প্রধান কমিশনার হিসেবে থাকছেন খোরশেদ আলম খসরু। তিন সদস্যর এই বোর্ডে অন্য দুই সদস্য হলেন এ জে রানা ও মোহাম্মদ নিশাদ। আপিল বিভাগে প্রধান হিসেবে রয়েছেন শামসুল আলম। তার সঙ্গে সহযোগী হিসেবে রয়েছেন ক্যামেরাম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মজনু ও নির্মাতা সেলিম আজম।