‘হাওয়া’ সিনেমার ‘শালিক বিতর্ক’ নিয়ে দায়ের করা মামলাটি আপোষ নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
রবিবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার দীপংকর বর একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অবগত না থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে ‘হাওয়া’ সিনেমার পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমনের পক্ষ থেকে আপোষ নিষ্পত্তি করার আবেদন করা হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট কর্তৃক দায়েরকৃত মামলাটি সমঝোতার ভিত্তিতে প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২-এর ধারা ৪৩ অনুযায়ী মামলাটি আপোষযোগ্য হওয়ায়, ফৌজদারি কার্যবিধির ২৪৮ ধারা মোতাবেক আজ (২৮ আগস্ট) বিজ্ঞ মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়েছে। আদালত মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদনের বিষয়টি গ্রহণপূর্বক শুনেছেন এবং পরবর্তী তারিখে রায় ঘোষণার জন্য ধার্য করেছেন।
‘হাওয়া’ মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র। এতে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ, নাজিফা তুষি, সোহেল মণ্ডল, নাসির উদ্দিন খান প্রমুখ।
‘হাওয়া’ ছবিটি টানা চার সপ্তাহ ধরে দেশের অর্ধশতাধিক হলে প্রায় হাউসফুল চলছে, তখন আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর ডাক পেলেন পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমন! তার বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা হয়েছে। বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের অভিযোগ, সিনেমায় একটি শালিক পাখির সঙ্গে নির্মাতা ‘সঠিক’ আচরণ করেননি।
এদিকে দেশ মাতিয়ে ‘হাওয়া’ একযোগে কানাডা ও আমেরিকার ১১৭টি থিয়েটারে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ২ সেপ্টেম্বর। যা বাংলা সিনেমার জন্য নতুন মাইলফলক।