১৯ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৪:২৭:৪৩ অপরাহ্ন


তৈরি হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন বাস
সালেহ খান শাওন
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০২২-১২-১১ ০১:১৩:০৪
তৈরি হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন বাস


সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। স্বাগতিক নেপালকে হারিয়ে এই অঞ্চলের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতেছে বাংলাদেশ। সেই চ্যাম্পিয়ন মেয়েদের ট্রফি নিয়ে দেশে ফেরাটা আনন্দে রাঙিয়ে তুলতে ছাদখোলা বাসের ব্যবস্থা করছে সরকারের পরিবহন সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি)। ছাদখোলা চ্যাম্পিয়ন বাসটি তৈরি করছে বিআরটিসি।

চ্যাম্পিয়ন ট্রফি নিয়ে বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দেশে ফিরবে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। ঢাকায় পা রেখেই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন থেকে সংবর্ধনা পাবেন সাবিনারা। এরপর সেখানে তাদের ফেরার জন্য অপেক্ষায় থাকবে ছাদখোলা বাসটি। যাতে চড়ে ঘরে ফিরবেন সানজিদা-কৃষ্ণারা।

জানা যায়, আজ মঙ্গলবার বিআরটিসির মতিঝিল ডিপোর একটি ডাবল ডেকার বাসের ছাদ কাটা শুরু হয়েছে। আজই বাসটি চ্যাম্পিয়ন নারীদের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হবে। এরপর কাল বুধবার চ্যাম্পিয়ন মেয়েদের আনতে বাসটি যাবে বিমানবন্দরে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দিতে বিআরটিসির একটি ডাবল ডেকার বাসের ছাদ খুলে ফেলা হয়েছে। একইসঙ্গে বসার আসনগুলো সরিয়ে ফেলারও কাজ চলছে। মঙ্গলবার রাতের মধ্যে বাসটি প্রস্তুত হয়ে যাবে। সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত আসার সঙ্গে সঙ্গেই এ কাজটা আমরা আমাদের মতিঝিল ডিপোতে শুরু করেছি।’

মূলত সানজিদার একটি স্ট্যাটাসের সূত্র ধরে সামনে এসেছে ছাদখোলা চ্যাম্পিয়ন বাসের প্রসঙ্গ। নিজের ফেসবুক পাতায় তিনি ফাইনালের আগে লিখেছেন, ‘যারা আমাদের এই স্বপ্নকে আলিঙ্গন করতে উৎসুক হয়ে আছেন, সেই স্বপ্নসারথিদের জন্য এটি আমরা জিততে চাই। নিরঙ্কুশ সমর্থনের প্রতিদান আমরা দিতে চাই। ছাদখোলা চ্যাম্পিয়ন বাসে ট্রফি নিয়ে না দাঁড়ালেও চলবে, সমাজের টিপ্পনীকে এক পাশে রেখে যে মানুষগুলো আমাদের সবুজ ঘাস ছোঁয়াতে সাহায্য করেছে, তাদের জন্য এটি জিততে চাই।’

এরপর বিষয়টি সাড়া ফেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ফাইনাল মহারণ শেষে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘সাবিনাদের আক্ষেপ দেখে আমাদের অন্তরে ব্যথা লেগেছে। আমাদের দেশে যদিও ছাদখোলা কোনও বাস নেই; তারপরও আমরা তাদের জন্য একটা ব্যবস্থা করেছি। তাদের ছাদখোলা বাসে বিমানবন্দর থেকেই সংবর্ধনা দেবো। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাফুফে ভবন পর্যন্ত তাদের আমরা নিয়ে যাবো। তাদের মনের আশা পূরণ করবো।’