বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন সাকিব আল হাসানকে খালি হাতে ফিরতে হলো বিপিএল-এর ফ্র্যাঞ্চাইজি বাছাই পর্ব থেকে।
এবার তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মোনার্ক মার্ট লিমিটেড-এর ‘মোনার্ক পদ্মা’ নামে বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি স্বত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা ছিলো। সেটি পেলে সাকিব আল হাসান এবার টুর্নামেন্টে অংশ নিতেন দলের মালিক হিসেবে। যদিও সেই স্বপ্ন বৃথাই গেল সাকিব তথা সাকিবিয়ানদের।
অনেক জল্পনা-কল্পনা শেষে নিশ্চিত হওয়া হেলো, শেষ পর্যন্ত সাকিবের আবেদন করা ‘মোনার্ক পদ্মা’ বিপিএল-এর ফ্র্যাঞ্চাইজি স্বত্ব পায়নি। চূড়ান্ত হলো মোট ৭টি ফ্র্যাঞ্চাইজি। যেখানে ঠাঁই পায়নি সাকিবের মোনার্ক।
আগামী বছর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য বিপিএল আসর সাত যে ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানায় থাকবে, রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে জানায় বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আবেদন করা আগ্রহী ৯ কর্পোরেট হাউজ থেকে সাতটি ফ্র্যাঞ্চাইজি চূড়ান্ত হয়েছে। যার মধ্যে নেই সাকিব আল হাসানের ‘মোনার্ক পদ্মা’র নাম।
শেষ পর্যন্ত যে সাত কর্পোরেট হাউজ চূড়ান্তভাবে মনোনীত হয়েছে সেগুলো হলো- ফরচুন বরিশাল স্পোর্টস লিমিটেড (বরিশাল), মাইন্ড ট্রি লিমিটেড (খুলনা), প্রগতি গ্রিন অটো রাইস মিলস লিমিটেড (ঢাকা), ফিউচার স্পোর্টস বাংলাদেশ লিমিটেড (সিলেট), টগি স্পোর্টস লিমিটেড (রংপুর), ডেল্টা স্পোর্টস লিমিটেড (চট্টগ্রাম) এবং কুমিল্লা লিজেন্ডস লিমিটেড (কুমিল্লা)।
শেয়ারবাজার কারসাজি, সাকিবের বাবার নাম জালিয়াতি মিলে সাম্প্রতিক সময়ে তুমুল বিতর্কিত প্রতিষ্ঠান মোনার্ক লেদার ইন্ডাস্ট্রিজ। যে প্রতিষ্ঠানের অন্যতম মালিক সাকিব আল হাসান।
বিতর্ক এড়াতেই মোনার্ক লেদারকে দল দেয়া হয়নি। এই প্রসঙ্গে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শেখ সোহেল রোববার বলেছেন, ‘বিপিএলে যখনই আমরা ফ্র্যাঞ্চাইজি দিতে যাই, তখন সরকারের একটা সংস্থার কাছে আমরা সাহায্য চাই, তারাই আমাদেরকে যাচাই-বাছাই করে যে রিপোর্টটা দেয়, তারপর আমরাও দেখি। সবকিছু মিলিয়ে আমরা ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা ঠিক করি। এক্ষেত্রে কোনো জায়গা থেকে তাদের (মোনার্ক লেদার) সম্পর্কে আমরা সন্তোষজনক কোনো রিপোর্ট পাইনি। এর আগে মিডিয়াতেও তাদের নামে অনেক রিপোর্ট হয়েছিল। সবকিছু মিলে বিতর্কিত কাউকে দিয়ে আমরা এই টুর্নামেন্টকে বিতর্কিত করতে চাই না।’
প্রসঙ্গত, বিপিএল-এর পরিচিত ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যে এবার নেই বেক্সিমকো ও জেমকন গ্রুপ। ক্রিকেট অনুরাগীরা বেক্সিমকোকে ঢাকার আর জেমকন গ্রুপকে খুলনার ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে জানেন। কিন্তু এবার তারা দল নিতে আগ্রহী হয়নি। তবে প্রতিষ্ঠিত ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যে কুমিল্লা লিজেন্ডস (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স) আর বসুন্ধরা গ্রুপ (টগি স্পোর্টস নামে) ঠিকই আছে। এছাড়া আগে বরিশালের মালিকানায় থাকা ফরচুন বরিশালও দল পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে।