১৯ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৩:৪২:০৮ অপরাহ্ন


ঘুরে আসতে পারেন বিস্ময়কর লাল সৈকত
ট্রেন্ড ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০২২-১২-১১ ০১:১৩:০৪
ঘুরে আসতে পারেন বিস্ময়কর লাল সৈকত


বিশ্বজুড়ে বিস্ময়ের কোনও কমতি নেই। তেমনই এক বিস্ময়কর সৈকত ‘রেড বিচ’। এই বিচ দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে চীনের লিয়াওনিং প্রদেশের পাঞ্জিনে। বেইজিং থেকে ৬ ঘণ্টা ট্রাভেল করলেই আপনি পৌঁছে যাবেন লাল সৈকতে।

মজার তথ্য, অনেকেই মনে করছেন এই সৈকতের বালু সম্ভবত লাল! একদমই না। বরং এই সৈকতে বালুর অস্তিত্বই নেই। এই সৈকতে এমন এক উদ্ভিদ আছে যেটি লাল বর্ণের। যা জন্মে বিশ্বের বৃহত্তম ঐ জলাভূমিতে।

দূর থেকে দেখলে মনে হবে লাল গালিচা বিছানো হয়েছে এই সৈকতে। আর এই সৌন্দর্যে মুগ্ধ হতেই বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকদের সমাগম ঘটে এই লাল সৈকতে।

স্মিথসোনিয়ান ম্যাগাজিনের মতে, চীনের এই অঞ্চল বিশ্বের বৃহত্তম জলাভূমিগুলোর মধ্যে একটি। তবে সব সময় এই সৈকতে লাল রঙের উপস্থিতি দেখা যায় না। শুধু বছরের একটি সময়ই এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন পর্যটকরা। আর সেই সময়টি হলো শরৎকাল বা অক্টোবর।

জাদুকরীভাবে এ সময় টকটকে লাল রঙে পরিণত হয় বৃহত্তম এই জলাভূমি। অন্য সময় সবুজ উদ্ভিদই দেখা যায় জলাভূমিতে। জানা গেছে, সিপউইড প্রজাতির উদ্ভিদ শরৎকালে হঠাৎ তাদের রং বদলায়। এর কারণ হলো এই উদ্ভিদ উচ্চ মাত্রার লবণাক্ততা শোষণ করতে পারে।

এই জলাভূমির আশপাশের সমুদ্রের লোনা পানির কারণেই এক সময় সবুজ রঙের সিপউইড উদ্ভিদ লাল রঙে পরিণত হয়। বসন্তে সিপউইড সবুজ হয়েই জন্মায়, তারপর গ্রীষ্ম থেকে এটি ধীরে ধীরে রং পরিবর্তন করে। অবশেষে শরতে টকটকে লাল বর্ণ ধারণ করে।

সেখানকার সৌন্দর্য দেখতে প্রতি শরতে প্রচুর পর্যটক ভিড় করেন। সিএনএন-এর তথ্য অনুযায়ী, দুই মিলিয়নেরও বেশি পর্যটক প্রতিবছর ভিড় করেন সেখানে। রেড বিচ ছাড়াও অঞ্চলটি ২৬০ প্রজাতির পাখির আবাসস্থল। এমনকি এই জলাভূমি ধান ও বাঁশের জন্যও বিখ্যাত।

ট্রাভেল চায়না গাইড অনুসারে, এই রেড বিচের সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য দেখার সেরা সময় হলো অক্টোবর।