আসন্ন বিশ্বকাপের ময়দানে নিজেদের পোক্ত করার লক্ষ্যে ক্রাইস্টচার্চে ত্রিদেশীয় সিরিজে ভালোই স্ট্র্যাগল করতে হচ্ছে টিম টাইগারদের। পর পর দুটো পরাজয় এলো লাল-সবুজের ঘরে।

তবে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে জোড়া হার ছাপিয়ে নতুন আলোচনার বিষয়বস্তু দাঁড়ালো সাকিব আল হাসানে। তামিম, মুশফিকুর এমনকি মাহমুদউল্লাহও নেই দলে। অভিজ্ঞতার দিক থেকে টাইগার শিবিরে এখন সবচেয়ে এগিয়ে সাকিব আল হাসান। দলের অধিনায়ক ও দেশ সেরা ক্রিকেটারও তিনি। সেই সাকিবই কি-না রবিবার (৯ অক্টোবর) ব্যাটিংয়ে নামলেন সাত নম্বরে! 

অথচ স্বাভাবিক হিসাবে তিন নম্বরে ব্যাট করে থাকেন এ অলরাউন্ডার। ফলে দল পরাজয়ের চেয়ে সাকিবের তিন থেকে সাতে নেমে যাওয়াটাই এখন বড় আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ালো।

কারণ, হঠাৎ সাকিবের সাত নম্বরে নেমে যাওয়ার ঘটনা বিস্ময় ছড়িয়েছে ক্রিকেট অঙ্গনে। এমনও বলছে কেউ, এদিন সাকিব তিনে বা চারে নামলে হয়তো বাংলাদেশের ছন্নছাড়া ব্যাটিংয়ে কিছুটা প্রাণ ফেরাতে পারতেন। কিন্তু ডানহাতি বাঁহাতি কম্বিনেশনের কারণেই কি-না সাত নম্বরে নামতে হয় অধিনায়ককে!

ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সাত নম্বরে নামার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সাকিব বলেন, ‘আমার আরও ওপরের দিকে ব্যাট করার কথা ছিল, কিন্তু দুই স্পিনার বোলিং করছিল এবং আমরা ডানহাতি ও বাঁহাতি সমন্বয় চেয়েছিলাম।’

তবে যুক্তিটা খুব একটা অকাট্য হয়নি সাকিবের। কারণ চাইলেই চার নম্বরে নামতে পারতেন এ অলরাউন্ডার। মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মিরাজের বিদায়ে মাঠে আসেন লিটন দাস। এরপর লিটন যখন আউট হন তখন মাঠে নামেন আফিফ হোসেন। মাঠে তখন ছিলেন দুই বাঁহাতি।

ডান হাতি ও বাঁহাতির এ কৌশল অবশ্য কাজে লাগেনি বাংলাদেশের। নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে কোনোমতে ১৩৭ রান তুলতে পেরেছিল টাইগাররা। যে লক্ষ্য পার হতে ১৭.৫ ওভার পর্যন্ত খেলতে হয় নিউজিল্যান্ডকে। হারায় মাত্র ২টি উইকেট।

হারের ব্যাখ্যা দিয়ে সাকিব বলেন, ‘আমার মনে হয় ব্যবহৃত উইকেটে তাদের (নিউজিল্যান্ড) স্পিনাররা ভালো বল করেছে। আমরা ভালো সূচনা করেছি, কিছু বড় শট খেলার চেষ্টা করেছি। তবে মাঝখানে কয়েকটি উইকেট হারিয়ে ফেলি এবং এরপর আর কখনও মোমেন্টাম ফিরে পাইনি। সেরা চার ব্যাটারের মধ্যে অন্তত দুই জনকে ১৫-১৬ ওভার পর্যন্ত খেলতে হবে।’

এমন সহজ হারের পরও ইতিবাচক মনোভাব অধিনায়কের ভাষায়। বলেন, ‘বোলাররা উভয় ম্যাচেই ভালো করেছে এবং ফিল্ডিংও ভালো হয়েছে, এগুলোই ইতিবাচক দিক। যদিও আমাদের ব্যাটিংয়ে কাজ করতে হবে। আপনি যখন নিয়মিত হারছেন তখন শক্তির মাত্রা বেশি রাখা কঠিন, কিন্তু আমরা বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে মোমেন্টাম পেতে চাই।’

ত্রিদেশীয় এ সিরিজে এখনও দুটি ম্যাচ বাকি রয়েছে বাংলাদেশের। সেই ম্যাচে ভালো করতে মুখিয়ে আছেন সাকিব ও তার দল।