রবিবার (২০ নভেম্বর) জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২। প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক কাতারের মুখোমুখি হবে ইকুয়েডর। সাধারণ মানুষই নয়, বিশ্বকাপ হাওয়ায় ভাসছে শোবিজ তারকারাও। রীতিমতো প্রকাশ্যেই মেতে উঠেছেন তর্কযুদ্ধে। নিজের দলের পক্ষে যেমন যুক্তি-ভালোবাসা জাহির করছেন, আবার অন্য দলের তিরস্কার করতেও ছাড়ছেন না। দেখে নেওয়া যাক তারকারা কে কোন দলের পক্ষে লড়ছেন-
ওমর সানী
ফুটবল আমাদের প্রিয় খেলা। বিশ্বকাপ এলে সেটা খুব ভালো করেই টের পাওয়া যায়। প্রতিটি বাসার ছাদেই এখন প্রিয় দলের পতাকা টানানো হয়েছে। আমার পছন্দের দল ব্রাজিল। বিশ্বকাপে তাদের সবগুলো ম্যাচ দেখব। এবারের বিশ্বকাপে ব্রাজিল ভালো করবে- এটাই চাই।
মৌসুমী
চার বছর পর বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর বসে। এই মহাআয়োজনের জন্য অধীর অপেক্ষায় থাকি। পরিবারের সবাই মিলে খুব মজা করে খেলা দেখি। আমি ছোটবেলা থেকেই ব্রাজিল সমর্থন করে আসছি। কষ্ট হলেও দলটির খেলা মিস করি না। আমি চাই, এবারের বিশ্বকাপে ব্রাজিল বিজয়ী হোক।
আসিফ আকবর
আমার পছন্দের দল ব্রাজিল। প্রিয় দলের খেলা যেদিন হয়, সেদিন যেখানেই থাকি না কেন, বন্ধুদের নিয়ে আয়োজন হবেই। ব্রাজিল পছন্দের দল হলেও প্রিয় খেলোয়াড় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তবে নেইমার-সিলভারা চ্যাম্পিয়ন হবে, এটা প্রত্যাশা করি।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী
কেন ব্রাজিল সমর্থন করি- সেটা বলতে পারব না। একটা কারণ হতে পারে, ছোটবেলায় পাঠ্যবইয়ে হয়তো পেলের সম্পর্কে জেনেছি। এখন নেইমারের খেলা ভালো লাগে। ভিনিসিয়ায়ও দারুণ ফর্মে আছে। সব মিলিয়ে দলটার মধ্যে বৈচিত্র্য আছে। আর্জেন্টিনার মেসির খেলাও আমাকে খুব মুগ্ধ করে।
চঞ্চল চৌধুরী
১৯৮৬ সাল থেকে আমি ম্যারাডোনার ভক্ত। তার জাদুকরী খেলায় মুগ্ধ হয়েই আর্জেন্টিনা দলের সমর্থক বনে যাই। এবারের বিশ্বকাপে গ্যালারিতে ম্যারাডোনাকে খুব মিস করব। ২০১৮ সালের চেয়ে এই বিশ^কাপের দলটি বেশ ভারসাম্যপূর্ণ। মেসিকে স্বরূপে মাঠে পেতে চাইব। আশা করি, আর্জেন্টিনা চমকে দেবে বিশ্বকে।
নুসরাত ইমরোজ তিশা
আমি আর্জেন্টিনার পাঁড় ভক্ত। ম্যারাডোনার কথা শুনেই দলটির প্রতি ভালো লাগা জন্মায়। এখনকার দলে মেসি আমার প্রিয় খেলোয়াড়। এ ছাড়া ডি মারিয়া, দিবালাদের খেলাও ভালো লাগে। এবারের দলটা নিয়ে অনেক ফুটবল বিশ্লেষক আর্জেন্টিনার পক্ষে বাজি ধরছেন।
জিয়াউল ফারুক অপূর্ব
খেলার সময় কাজের সূচি পরিবর্তন করে রাখি। আমার ছেলেও খেলা দেখতে খুব মুখিয়ে থাকে। সাধারণত বন্ধুবান্ধবসহ খেলা দেখতে পছন্দ করি। এমনও হয়েছে খেলা দেখা নিয়ে ঝগড়া হয়ে দীর্ঘদিন অনেক বন্ধুর সঙ্গে কথা বলিনি। ব্রাজিল আমার প্রিয় ফুটবল দল। এবার জিতবে তারাই।
নিরব
আমি আর্জেন্টিনার সমর্থক। কারণ দলটির খেলার মধ্যে ভিন্ন কিছু রয়েছে, যা আমাকে বরাবরই মুগ্ধ করে। মেসি তো দুর্দান্ত খেলে। সব মিলিয়েই আমার কাছে আর্জেন্টিনার খেলা ভালো লাগে। সর্বাধিক বিশ্বকাপ জেতা দেখে দল সমর্থন করি না। খেলার নৈপুণ্য দেখে সমর্থন করি।
ইমন
যখন থেকে খেলা বুঝি, তখন থেকেই আমি আর্জেন্টিনার সমর্থক। মেসি-ডি মারিয়াদের দেখেই দলটির প্রতি ভালোবাসার সৃষ্টি হয়। আর ‘অল টাইম গ্রেট’ ম্যারাডোনা তো আছেনই। কাতারের মাঠে দর্শকসারিতে তাকে খুব মিস করব। আশা করব, মেসির হাতে এবারের সোনালি ট্রফিটা উঠবেই।
সাইমন সাদিক
যারা ফুটবল খেলা দেখে আনন্দ উপভোগ করতে চান, তারা ব্রাজিল করেন। ইনশাল্লাহ, প্রিয় দলটি ষষ্ঠবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হবে।
সিয়াম আহমেদ
২০০৭ সাল থেকে আমার প্রিয় দল স্পেন। ডেভিড ভিয়ার কারণেই ইউরোপের এই দলটির সমর্থন করা। এর বাইরে আর্জেটিনার মেসি আমার প্রিয় খেলোয়াড়। এ কারণে স্পেনের সব খেলা দেখার পাশাপাশি আর্জেন্টিনার খেলাগুলোও দেখার ইচ্ছা আছে।
সাবিলা নূর
অনেকেই প্রশ্ন করে, আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল বাদ দিয়ে জার্মানি কেন করি। আমার আসলে তাদের ইউনিটি ভালো লাগে। দলটিতে কোনো সুপারস্টার নেই। অন্য সব দলের সঙ্গে তুলনা করলে এভারেজ দল নিয়ে বিশ্বকাপ খেলে তারা। কিন্তু ওই ১১ জনই কীভাবে যেন এক হয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলে পড়ে, যা অন্যরা পারে না।
পূজা চেরী
আমার প্রিয় দল একটাই, আর্জেন্টিনা। ফাইনালের আগে তারা হেরে গেলে আমার বিশ^কাপ শেষ! আমার মায়ের কাছে শুনেছি ম্যারাডোনার কথা। সে মায়ের প্রিয় খেলোয়াড়। আর আমার মেসি। ফুটবলের রাজপুত্র এবার ৩৬ বছরের বিশ্বকাপ শিরোপাখরা ঘোচানোর মিশন নিয়ে মাঠে নামবেন। খালি হাতে ফিরতে হবে না মেসিকে।
ইমরান
ছোটবেলা থেকেই আমি আর্জেন্টিনার ভক্ত। মেসির মতো তারকা ফুটবলার থাকলে দলের প্রতি ভালোবাসা আরও বেড়ে যায়। এবারই হয়তো তার শেষ বিশ্বকাপ। মেসির জন্য হলেও শিরোপাটা হাতে তুলতে চাইবে পুরো দল। আমার দৃঢ় বিশ্বাস বিশ্বকাপ জিতবে আর্জেন্টিনা।
মিম মানতাশা
আব্বু আর ভাইয়া ব্রাজিলের সমর্থক। কিন্তু আমার কাছে মেসিকে খুবই ভালো লাগে। আমি তার ফ্যান হয়েছি, যখন ফুটবলের এই রাজপুত্রের লাইফস্টাইল পড়েছি। আমার মনে হয়, মেসির থেকে বেস্ট কেউ হতেই পারে না। তার জন্য হলেও বিশ্বকাপটা চাই।
পড়শী
ছোটবেলা থেকেই আমি ব্রাজিলের ভক্ত। নেইমার খুবই প্রিয়। ফুটবল নিয়ে তার ক্যারিশমার কোনো তুলনাই হয় না। এবারের দলটা খুব ভালো অবস্থানে আছে। অভিজ্ঞ কিছু খেলোয়াড়ের পাশাপাশি তরুণ কয়েকজন তারকা আছে- যারা যে কোনো মুহূর্তেই খেলার গতিপথ বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।
সজল
২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনাল হারের বেদনা নিয়ে অপেক্ষায় দিন পার করছি। দীর্ঘ অপেক্ষার পর এলো ২০২২। এবার আর্জেন্টিনা শিরোপা উঁচিয়ে ধরবে।
ব্যতিক্রম সিয়াম-সাবিলা
ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা যুদ্ধের বাইরেও অনেক তারকা আছেন। এর মধ্যে দু’জন হলেন সিয়াম আহমেদ ও সাবিলা নূর। ২০০৭ সাল থেকে স্পেনের সমর্থক সিয়াম। ইউরোপের এই দলের জয় চান তিনি। তবে পাশাপাশি মেসির খেলাও পছন্দ সিয়ামের। অন্যদিকে সাবিলা নূর ভালোবাসেন জার্মানির টিমওয়ার্ক। একতাবদ্ধ হয়ে দলটির লড়াই মুগ্ধ করে তাকে। তাই কাতার বিশ্বকাপে সাদা জার্সিতেই আনন্দ খুঁজবেন তিনি।