সৌদির বিপক্ষে অঘটনের পর আলবিসেলেস্তেদের প্রয়োজন ছিল একটি জয়। সেটি এলো গ্রুপ ‘সি’ থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই, মেক্সিকোর বিপক্ষে।
প্রথম ম্যাচে হারের পর বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ার শঙ্কায় থাকা আর্জেন্টিনা দারুণভাবে ঘুরে দাড়ালো। তাতে প্রাণ ফিরে পেয়েছে দলটি। অধিনায়ক লিওনেল মেসির ভাষায়, আসরটা যেন এই জয়ের মধ্য দিয়েই শুরু হলো আলবিসেলেস্তেদের।
মেক্সিকো ম্যাচে আর্জেন্টিনার জয়ের নায়ক লিওনেল মেসি। দুর্দান্ত এই জয়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মেসি বলেন, ‘আমরা জানতাম আজ আমাদের জিততেই হতো। এটা বিশ্বকাপে আমাদের জন্য নতুন এক শুরু আর আমরা এটা করতে পেরেছি।’
ম্যাচের প্রথমার্ধের পারফরম্যান্স যে নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করে না, তা জানা আছে মেসিরও। মেক্সিকোর বিপক্ষে খেলাটা কতটা কঠিন ছিল, তা জানাতে গিয়ে মেসি আরও বলেছেন, ‘মেক্সিকো শক্ত প্রতিপক্ষ। আমাদের কাজটা সহজ ছিল না। প্রথমার্ধে আমরা চাপ সয়ে গেছি। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা স্নায়ুচাপ সামলে নিয়েছি ও নিজেদের খেলাটা খেলতে পেরেছি।’
মেক্সিকোকে ২-০ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম পয়েন্ট শুধু নয়, আর্জেটিনা অর্জন করেছে আত্মবিশ্বাসও। মেসি বলেন, ‘এখন হাল ছেড়ে দেয়া যাবে না। পুরো টুর্নামেন্ট পড়ে আছে। আর ভুল করা যাবে না। আমরা জানতাম দর্শক এমনভাবেই আমাদের সমর্থন দেবে। তাদের মর্যাদা রাখতে পেরেছি।’
এই জয়ের দিনে কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনার দুই রেকর্ড স্পর্শ করেছেন মেসি। বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বোচ্চ ২১ ম্যাচ খেলার রেকর্ডটি এতো দিন ছিল ম্যারাডোনার একার। এবার তার পাশেই এসে বসলেন মেসি।
মেসি স্পর্শ করেছেন বিশ্বকাপে ম্যারাডোনার গোলের রেকর্ডও। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপের নায়ক ম্যারাডোনা বিশ্বকাপে মোট ৮টি গোল করেছিলেন। পাঁচ বিশ্বকাপে খেলা মেসির মোট গোলসংখ্যাও এখন ৮টি। আর ১টি পেলেই ম্যারাডোনাকে টপকে যাবেন মেসি।
তবে দলের এমন গুরুত্বপূর্ণ জয়ের পর ব্যক্তিগত অর্জন নিয়ে ভাবছেন না মেসি। তার দাবি আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ মাত্র শুরু হলো।