কাতার বিশ্বকাপে আগে লিখে ফেলা সব স্ক্রিপটই নতুন করে লিখতে হচ্ছে। এমনকি বিফলে গেছে অক্সফোর্ডের গবেষণাও। সব অনুমান ও পাণ্ডিত্যকে
বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিশ্বকাপ এগিয়ে চলছে অনিশ্চয়তার সগৌরবে। যেন অনুমানের বাইরে এই বিশ্বকাপ।
বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের শেষ দুই ম্যাচেও ঘটেছে তাই। ফেভারিট ব্রাজিলকে ১-০ গোলে
হারিয়ে দিয়েছে আফ্রিকান ক্যামেরুন।
যদিও এই পরাজয়ে ব্রাজিলের কোনও ক্ষতি হয়নি। জি গ্রুপে
থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়েই পরের পর্বে পা রেখেছে তিতের দল। অন্যদিকে এই গ্রুপের অপর
ম্যাচে সার্বিয়াকে ২-৩ গোলে হারিয়ে ব্রাজিলের সঙ্গে দ্বিতীয় রাউন্ডে পা রেখেছে
ইউরোপের সুইজারল্যান্ড। দ্বিতীয় রাউন্ডে ব্রাজিলকে লড়তে হবে এশিয়ার দক্ষিণ কোরিয়ার
সঙ্গে। আর সুইজারল্যান্ডের প্রতিপক্ষ পর্তুগাল।
দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় প্রায় রিজার্ভ
বেঞ্চের দল মাঠে নামিয়েছিলেন ব্রাজিল কোচ। তবে শুরু থেকে মুহুর্মুহু আক্রমণ করলেও
গোলের দেখা পায়নি সেলেসাওরা। প্রথমার্ধে গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লির দুইটি গোলমুখের
শট ঠেকিয়ে দেন ক্যামেরুনের গোলরক্ষক এপাসি।
দ্বিতীয়ার্ধেও ব্রাজিল আক্রমণ চালিয়েছিল। তবে দুর্গ হয়ে
দাঁড়িয়েছিল ক্যামেরুনের ডিফেন্স ও গোলরক্ষক। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে ক্যামেরুনের
আবু বকরের হেডে এক শূন্য গোলে এগিয়ে যায় আফ্রিকানরা। ম্যাচের আর কয়েক মিনিটের
মধ্যে ব্রাজিল সেটা শোধ করতে পারেনি।
ম্যাচে মোট একুশটি শট নিয়েছে ব্রাজিল। এর মধ্যে সাটটি অন টার্গেট। কিন্তু এপাসিকে একবারও ভেদ করতে পারেনি। বিপরীতে ক্যামেরুনের নেওয়া তিন শটের মধ্যে একটিই গোল হয়েছে। ক্যামেরুনের গোলরক্ষক মোট সাতটি শট সেভ করেছেন।
সুইজারল্যান্ড ৩-২ সার্বিয়া
অপর ম্যাচের ২০ মিনিটে শাকিরির গোলে এগিয়ে যায়
সুইজারল্যান্ড। ২৬ মিনিটে সার্বিয়াকে সমতায় ফেরায় আলেকসান্দার মিত্রভিচ। ৩৫ মিনিটে
ভ্লাহোভিচের গোলে এগিয়ে যায় সার্বিয়া। হাফ টাইমের আগ মুহূর্তে এমবোলোর গোলে সমতায়
ফেরে সুইসরা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ফ্রিউলার আরেকটি গোল দিয়ে এগিয়ে যায়
সুইজারল্যান্ড। এই ব্যবধানে শেষ হয় খেলা।