০৬ নভেম্বর ২০২৪, বুধবার, ১০:৩৬:৫৬ পূর্বাহ্ন


বিদায় ইংল্যান্ড, সেমিফাইনালে ফ্রান্স
ট্রেন্ড ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০২২-১২-১১ ০৩:১৩:৩২
বিদায় ইংল্যান্ড, সেমিফাইনালে ফ্রান্স


ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে গতবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। শোয়েমেনি ও অলিভিয়ের জিরুডের গোলে ২-১ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। বিপরীতে হ্যারি কেইনের পেনাল্টি মিসে পরাজয় নিয়ে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হয়েছে ইংলিশদের।

খেলার মাত্র ১৭ মিনিটেই এগিয়ে যায় ফ্রান্স। গোলটি আসে ২২ বছর বয়সী শোয়েমেনির পা থেকে। গোলপোস্ট থেকে ২৫ ইয়ার্ড দূরে গ্রিজম্যান থেকে বলটি পান এই তরুণ মিডফিল্ডার। একটা বাঁক দিয়ে দূর থেকে জোরালো শট। ইংলিশ মিডফিল্ডার বেলিংহামের পায়ে লেগে বটম লেফট কর্নার দিয়ে জালে জড়ায় বল। এর পাঁচ মিনিট পরই ইংলিশ আক্রমণ। বুকায়েকা সাকার পাসটি ডি বক্সে পান হ্যারি কেইন। উপামেকানোকে পরাস্ত করলেও গোলরক্ষক লরিসের কাছে আটকে যান টটেনহ্যাম নাম্বার টেন।

২৬ মিনিটে হ্যারি কেইনকে বক্সে ফেলে দেন উপামেকানো। ভারে চেক করলেও মেলেনি পেনাল্টি। এর তিন মিনিট পর ডি বক্সের বাইরে থেকে ইংলিশ স্ট্রাইকারের জোরালো শট। তবে নিরাপদের সেটি ধরে নেন হুগো লরিস। প্রথমার্ধের বাকি সময় এপার ওপার করেই কেটে যায়। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ফ্রান্স।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বেলিংহামের নেওয়া শট লাফিয়ে বারের ওপর দিয়ে পাঠায় ফ্রান্স গোলরক্ষক। ৫২ মিনিটে ডি বক্সে বল নিয়ে দৌড়ানো বুকায়েকো সাকাকে ফাউল করেন গোল করা শোয়েমেনি। সঙ্গে সঙ্গে রেফারির বাঁশি। স্পট কিক থেকে সমতায় ফেরে ইংলিশরা। এর এক মিনিট পরই ফ্রান্সের আক্রমণ। তবে র‍্যাবিয়টের নেওয়া শটটি ঠেকিয়ে দেন পিকফোর্ড।  ৬০ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো ইংল্যান্ড। সাকার নেওয়া শটটিতে অসাধারণ সেভ দেন লরিস। এর দুই মিনিট পর আবারও গোলরক্ষকের দক্ষতায় নিস্তার পায় ফ্রান্স। ৭২ ও ৭৬ মিনিটে দুই দল দুটি বড় সুযোগ তৈরি করলেও বল খুঁজে পায়নি জাল।

৭৮ মিনিটে জিরুডের ভলিটি অসাধারণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন জর্ডান পিকফোর্ড। সেখান থেকে কর্নার পায় ফ্রান্স। গ্রিজম্যানের নেওয়া কিকটি ইংল্যান্ড ডিফেন্ডাররা ক্লিয়ার করলেও বল গিয়ে পড়ে ফ্রান্স খেলোয়াড়ে পায়ে। সেখান থেকে ঘুরেফিরে যায় কর্নার নেওয়া গ্রিজম্যানের পায়ে। তার ক্রস থেকে উড়ন্ত হেডে টপ লেদট কর্নার দিয়ে বল জালে জড়ান জিরুড। ২-১ গোলে এগিয়ে যায় গতবারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নরা।

পিছিয়ে পড়ার পরই ইংল্যান্ড দলে দুই পরিবর্তন। মাঠে নামে মেসন মাউন্ট ও রাহিম স্টার্লিং। এর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই মাউন্টকে ডি বক্সে ফেলে দেন থিও হার্নান্দেজ। এতে রেফারি বাঁশি না বাজালেও আবেদন করতে থাকেন ইংলিশ ফুটবলাররা। এতে রিভিউতে পেনাল্টি পায় ইংল্যান্ড। তবে এবার আর পারেননি হ্যারি কেইন। বারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন। এতে বড় সুযোগ পেয়েও সমতায় ফেরা হলো না। এখানেই কপাল পোড়ে ইংলিশদের। এরপর আরও দুই প্লেয়ারকে পরিবর্তন করলেও বলার মতো কিছুই হয়নি।

তবে অতিরিক্ত সময়ে একেবারে শেষ মিনিটে বক্সের বাইরে ফ্রিক পায় ইংল্যান্ড। তবে বদলি রাশফোর্ডের নেওয়া স্পট কিকটি গোলপোস্ট ঘেঁষে ওপর দিয়ে উড়ে যায়। এর সঙ্গে সঙ্গে রেফারির বাঁশি। স্বপ্ন ভাঙে ইংল্যান্ডের। আর উল্লাসে ফেটে পড়ে ফরাসি শিবির।