১৯ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০২:৪৫:৫৬ অপরাহ্ন


মরক্কোর স্বপ্নযাত্রা থামিয়ে দিলো ফ্রান্স
ট্রেন্ড ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০২২-১২-১৫ ০৩:০১:০৮
মরক্কোর স্বপ্নযাত্রা থামিয়ে দিলো ফ্রান্স


সেমিফাইনালে পৌঁছেই ইতিহাস রচনা করেছিল মরক্কো। সেই ইতিহাসকে আরও মহিমান্বিত করার সুযোগ ছিল তাদের। কিন্তু ফরাসি বাধায় থেমে যেতে হলো তাদের। বুধবার  কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ফ্রান্সের কাছে ২-০ গোলে হেরে থেমে গেলো মরক্কোর স্বপ্নযাত্রা। ফাইনালে যেতে না পারলেও তৃতীয় স্থান নির্ধারনী ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে নামবে আবারও  তারা। আর ৬০ বছরের ইতিহাসে প্রথম ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ফাইনালে ফরাসিরা  মুখোমুখি হবে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনার। 

দোহার আল বায়েত স্টেডিয়ামে খেলার ৫ম মিনিটেই হার্নান্দেজের গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। তারপর ৭৯তম মিনিটে আরেক গোল করে দেশটি। শত চেষ্টা করেও কোনও গোল পায়নি মরক্কো। এতে ২-০ গোলে জিতে মেসির আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ হলো এমবাপ্পের দল ফ্রান্স। 

সেমিফাইনালের আগে মাত্র একটি গোল খাওয়া মরক্কোর  রক্ষণ ভেদ করতে মাত্র ৫ মিনিট লাগে ফ্রান্সের। গোলের উৎস সেই আঁতোয়ান গ্রিজমান। ডান প্রান্ত থেকে মরোক্কান ডিফেন্ডার জাওয়াদ আল ইয়ামিককে ফাঁকি দিয়ে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে ক্রস বাড়ান ফরাসি ফরোয়ার্ড। প্রথম শটটা মরোক্কান রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের গায়ে লেগে ফেরত আসে এমবাপ্পের কাছে। ফিরতি শট আরেক ডিফেন্ডারে শরীরে লেগে চলে যায় বাঁ পাশে প্রায় ফাঁকায় দাড়ানো থিও এরনান্দেজের কাছে। বাঁ পায়ের দারুণ এক ভলিতে বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ও জাতীয় দলের জার্সিতে দ্বিতীয় গোলটি পেয়ে যান ফরাসী ডিফেন্ডার।

মিনিট পাঁচেক পরেই সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল মরক্কো। মিডফিল্ডার আজেদিন উনাহির ২৫ গজি শট বাঁয়ে ঝাপিয়ে রুখে দেন ফ্রান্স অধিনায়ক উগো লরিস। ১৭তম মিনিটে আবার সুযোগ নষ্ট মরক্কোর। এবার আর লরিসের পরীক্ষা নিতে পারেননি হাকিম জিয়েশ। ডান প্রা্ন্ত দিয়ে এগিয়ে যাওয়া চেলসি তারকার শট চলে যায় বাইরে।

দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম ১৫ মিনিট বল তো ছিল ফ্রান্সের সীমানাতেই। এক আক্রমণেই একাধিকবার গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি মরোক্কানরা। ৫৪তম মিনিটের সেই আক্রমণে একবার রাফায়েল ভারান ও আরেকবার ইব্রাহিমা কোনাতে রক্ষা করেন ফ্রান্সকে। দু মিনিট পর আবার গোলের সুযোগ মরক্কোর, এবার আক্রমণ ছেড়ে রক্ষণে দলকে বাঁচান গ্রিজমান। ৭৫ মিনিটেও দারুণ এক সুযোগ নষ্ট করে মরক্কো্। এবারও সময়মতো শট নিতে পারেনি দলটি।

বদলি হিসেবে মাঠে নামার ৪৪ সেকেন্ডের মধ্যে সেই তা করে ফেললেন ফ্রান্সের রান্দাল কোলো মুয়ানি। উসমান দেম্বেলের বদলি হিসেবে মাঠে নেমেই গোল পেয়ে গেলেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। কিলিয়ান এমবাপ্পের শট মরক্কোর এক খেলোয়াড়ের শরীরে বাঁধা পেলেও চলে যায় ডান পাশে ফাঁকায় দাড়ানো মুয়ানির কাছে। ঠাণ্ডা মাথায় ফ্রান্সের জার্সিতে প্রথম গোলটি করতে ভুল করেননি মাত্রই চতুর্থ ম্যাচ খেলতে নামা মুয়ানি।


আর এই গোলেই নিশ্চিত হয়ে যায় টানা দ্বিতীয়বার ফ্রান্সের বিশ্বকাপ ফাইনালে ওঠা। লুসাইল স্টেডিয়ামে কাতার বিশ্বকাপের চমক মরক্কোর ২–০ গোলে হারিয়ে ৬০ বছরের মধ্যে প্রথম দল হিসেবে টানা দুবার বিশ্বকাপ জয়ে খুব কাছে চলে গেলো ফরাসিরা। আগামী রোববার লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে ফাইনালে কিলিয়ান এমবাপ্পের ফ্রান্স সেই কীর্তি গড়তে মাঠে নামবে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনার বিপক্ষে।