ফাইনালের সব আলো কিলিয়ান
এমবাপ্পে এবং লিওনেল মেসির ওপর। কিন্তু আর্জেন্টিনা যদি বিশ্বকাপ ফাইনাল জিততে চায়,
তবে তাদের থামাতে হবে স্টাইলিশ আন্তোইন গ্রিজম্যানকে। এমবাপ্পে দশ নম্বর জার্সি পরছেন
ঠিকই কিন্তু কার্যত দশ নম্বরের ভূমিকা পালন করছেন গ্রিজম্যান।
ফ্রান্সের বিশ্বকাপ দলে
গ্রিজম্যান কন্ডাক্টরের ভূমিকা পালন করছেন। অপেরায় যেমন কন্ডাক্টরকে ঘিরে পুরো সংগীত
আয়োজন চলে। গ্রিজম্যানও তেমনি পুরো দলের খেলা তৈরি করছেন। আতলেতিকো মাদ্রিদের ফরোয়ার্ড
না থাকলে এমবাপ্পে, অলিভিয়ের গিরুদ এবং উসমানে দেম্বেলে এতটা বল পেতেন না। ফ্রান্স
দলে তার তিনটির বেশি অ্যাসিস্ট কারও নেই। আর্জেন্টিনাকে গ্রিজম্যানের এই সৃজনশীলতাকে
অবশ্যই রুখে দিতে হবে। হবে।
গ্রিজম্যানের সামগ্রিক
পারফরম্যান্স অসামান্য। ক্লাব পর্যায় থেকে ভিন্ন ভূমিকায় তিনি অবতীর্ণ। তিনি এখন ফ্রান্সের
দশ নম্বর হিসেবে খেলছেন। মাঠে তার ঘোরাঘুরি করার স্বাধীনতা রয়েছে। বল সংগ্রহ করার
জন্য তাকে অনেক নিচে নেমে আসতেও দেখা যায়। যা খেলাকে আরও প্রভাবিত করে। ফুটবলে দশ নম্বর
জার্সিধারীরা তিন উপায়ে খেলে থাকেন- তারা আঁটসাঁট জায়গায় নিজের কারুকার্য দেখান,
নিচে নেমে দৌড়ানোর ক্ষমতা রাখেন এবং উইঙ্গার হিসেবেও খেলতে পারেন। গ্রিজম্যান এই তিনটি
কাজ করতে পারেন।
আর তাই গ্রিজম্যানকে থামাকে
শারীরিকভাবে খেলার পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক ইংলিশ নারী ফুটবলার কারেন কার্নি। বর্তমানে
একজন ব্রডকাস্টার হিসেবে কাজ করলেও ইংল্যান্ডের হয়ে ১৪৪টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য
গার্ডিয়ানে তিনি লিখেছেন, আমি আর্জেন্টিনাকে গ্রিজম্যানের সঙ্গে শারীরিক খেলার পরামর্শ
দেব। এই ধরনের খেলোয়াড়রা প্রতিপক্ষের আক্রমণাত্মক দিক পছন্দ করে না। বিশেষ করে যখন
তাদের বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ বা সময় দেওয়া হয় না। এমবাপ্পে, গিরাউদ এবং ডেম্বেলে আর্জেন্টিনার
ক্ষতি করার সামর্থ রাখে। কিন্তু গ্রিজম্যানের কাছ থেকে যদি তাদের কাছে বল পৌঁছানো ঠেকানো
যায় তাহলে তারাও ভোঁতা হয়ে যাবেন।