০৬ নভেম্বর ২০২৪, বুধবার, ০৯:৩৬:৩৯ পূর্বাহ্ন


এমবাপ্পের গোল নিয়ে প্রশ্ন তুললেন খোদ রেফারি!
সৈয়দ ইমরুল সামাদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০২২-১২-২৫ ০১:১৭:৩৩
এমবাপ্পের গোল নিয়ে প্রশ্ন তুললেন খোদ রেফারি! ফাইনাল ম্যাচ শেষে এমবাপ্পেকে এভাবেই টেনে তোলেন রেফারি সিমন মার্চিনিয়াক


আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স ম্যাচ আবারও আয়োজন করার দাবি উঠেছে বিশ্বজুড়ে! অভিযোগ, ফাইনালে লিওনেল মেসির দ্বিতীয় গোলের মুহূর্তে আর্জেন্টিনার দুই বদলি খেলোয়াড় মাঠে ঢুকে পড়েছিলেন—এমন অভিযোগে গোলটি বাতিলযোগ্য বলে দাবি করেছে ফরাসি সংবাদমাধ্যমগুলো।

ওই মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল হ্যান্ডেলে ছড়িয়ে পড়ার পর আর্জেন্টিনার জয় নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন ফরাসি-ব্রাজিল সমর্থকদের অনেকে। এরই মধ্যে ফাইনাল ম্যাচের রেফারি সিমন মার্চিনিয়াকের ম্যাচ পরিচালনায় ভুল ছিল দাবি করে আবার ম্যাচ আয়োজনে অনলাইনে পিটিশনে স্বাক্ষর গ্রহণও চলছে।

তবে আর্জেন্টিনা–ফ্রান্সের ফাইনাল পরিচালনা করা মার্চিনিয়াক মেসির গোলটিতে সমস্যা দেখছেন না। বরং কিলিয়ান এমবাপ্পের গোলের সময় ফ্রান্সের ৭ জন ফুটবলার মাঠে ঢুকে পড়েছিলেন বলে জানিয়েছেন এই পোলিশ রেফারি।

নিজের দেশ পোল্যান্ডে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মার্চিনিয়াক।

পোল্যান্ডের ইতিহাসে প্রথম রেফারি হিসেবে বিশ্বকাপের ম্যাচ পরিচালনা শেষে মার্চনিয়াক দেশে ফেরেন বুধবার। তাকে স্বাগত জানাতে পোল্যান্ডের প্লোক শহরে বিলবোর্ড ও ব্যানার টানানো হয়। 

পরদিন শহরের মেয়রের কার্যালয়ে দেওয়া হয় সংবর্ধনা। সেখানে উপস্থিত সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে বিশ্বকাপ ফাইনাল নিয়ে কথা বলেন ৪১ বছর বয়সী এই রেফারি।

‘গেজেটা ওয়েবোরজা’র খবরে বলা হয়, ফরাসি সংবাদমাধ্যম ‘লেকিপ’–এ রেফারিংয়ের ‘ভুল’ ধরিয়ে দেওয়া ও মেসির দ্বিতীয় গোলটি বাতিলযোগ্য দাবির বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হয় মার্চিনিয়াককে। 

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বলব ফরাসি সংবাদমাধ্যমটি বোকার মতো কাজ করেছে। কিছু জিনিস তাদের চোখ এড়িয়ে গেছে। আমাদের কাছে এমন একটি ছবি আছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ফ্রান্সের গোলের সময় ওদের সাতজন বদলি খেলোয়াড় মাঠে ঢুকে পড়েছিল।’ 

এ সময় নিজের মুঠোফোনে ম্যাচের একটি ছবি দেখান তিনি।

এর আগে ফিফার বিধি প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ড (আইএফএবি) দ্য আথলেটিককে জানায়, গোলের মুহূর্তে কোনো খেলোয়াড় মাঠে ঢুকে পড়লেই গোল বাতিল হয় না। বাতিল হয়, যদি মাঠে ঢুকে পড়া খেলোয়াড় বা কোচিং স্টাফ সদস্য খেলার ভেতর কোনো হস্তক্ষেপ বা প্রভাব রাখে। কিন্তু ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে দেওয়া মেসির গোলটির সময় মাঠে ঢুকে পড়া খেলোয়াড়রা ছিলেন অনেক দূরে।

ভিএআর সহযোগীসহ মাঠের তিন রেফারি নিয়ে ম্যাচ পরিচালনা করা মার্চিনিয়াক জানান, ফাইনাল শেষে ফ্রান্স দলের কেউ রেফারিং কোনো অভিযোগ তোলেননি, ‘আমার কাছে খেলোয়াড়দের প্রতিক্রিয়াটাই সবচেয়ে বড়। ম্যাচ শেষে অলিভিয়ের জিরু এসে আমার সঙ্গে হাত মেলাল। উগো লরিস, কিলিয়ান এমবাপ্পেরা হাত মেলাল, ধন্যবাদ দিল। ওদের কেউ রেফারিং নিয়ে কোনো অভিযোগ জানায়নি।’