অন্যের যে বিষয়গুলো সবার আগে আমাদের নজর কাড়ে, তার মধ্যে অন্যতম হলো স্মার্টনেস। এই স্মার্টনেস তৈরি হয় অনেকগুলো বিষয়ের সমন্বয়ে। এটি কেবল নিজেকে বাহ্যিকভাবে সাজিয়ে রাখাই নয়, ভেতর থেকেও উন্নতি করার নাম। আপনার স্মার্টনেসের ভেতর যেন ইতিবাচকতা প্রকাশ পায়। অন্যের উপকার করে, ইতিবাচক আরও অনেক কাজের মাধ্যমেও ফুটিয়ে তোলা যায় স্মার্টনেস। চলুন জেনে নেওয়া যাক নিজেকে স্মার্ট দেখানোর ৫ টিপস-
এক.
যখন কেউ মন খুলে অন্যের প্রশংসা করেন, তখন তাকেও কিন্তু অসাধারণ লাগে। কারণ মন বড় না হলে কেউ অন্যের প্রশংসা করতে পারে না। অন্যকে সন্তুষ্ট করার সহজ উপায়ও হলো প্রশংসা করা। তবে মজা করে নয়, প্রশংসা করুন সত্যিকারভাবেই। এতে আপনার স্মার্টনেস প্রকাশ পাবে।
দুই.
র পথে এমন অনেক ঘটনা ঘটবে যাতে আপনার রেগে যাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু এমন ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না। চুপচাপ থাকুন। কিছু সময় পর দেখবেন আপনার রাগ কমতে শুরু করেছে। আবার আপনার ওপর কেউ রাগ করলেও ঝগড়া চালিয়ে যাবেন না। কিছুক্ষণ পর একইভাবে দেখবেন, তার রাগ চলে গেছে এবং সে হয়তো তার রাগের জন্য লজ্জিতও হতে পারে।
তিন.
দামী পোশাক পরার চেয়েও পরিপাটি থাকা বেশি জরুরি। কারণ স্মার্টনেস প্রকাশ করতে চাইলে সবার আগে নিজেকে পরিপাটি হিসেবে উপস্থাপন করতে হবে। আপনার পোশাক, কথা বলা, চাল-চলন কতটা গোছানো, তার ওপর নির্ভর করে আপনি কতটা স্মার্ট। এমনকী খাবার খাওয়ার ধরন দেখেও বলে দেওয়া যেতে পারে আপনি কতটা স্মার্ট।
চার.
অন্যকে সাহায্য করার মানসিকতা আপনাকে কেবল একজন মানবিক মানুষ হিসেবেই তুলে ধরবে না, সেইসঙ্গে প্রকাশ করবে স্মার্টনেসও। তাই কেউ সাহায্য চাইলে তাকে যতটা সম্ভব সাহায্য করুন। এর ফলে আপনার প্রতি অন্যদের ভরসা বাড়বে। অন্যের দুঃসময়ে পাশে থাকলে আপনার দুঃসময়েও অনেককে পাশে পাবেন।
পাঁচ.
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিতি বাড়ুক, সমস্যা নেই। সেইসঙ্গে যোগাযোগ বাড়ুক অফলাইনেও। অনলাইন বন্ধুদের লাভ রিঅ্যাক্টের চেয়ে আপনজনদের ভালোবাসা অনেক বেশি দামী ও জরুরি। বিষয়টি মাথায় রাখুন। পারিবারিক জীবনে আপনি কতটা সামাজিক, বন্ধু হিসেবে আপনি কতটা মিশুক সবকিছু বলে দেয় আপনি আসলে কতটা স্মার্ট।