‘হোটেল লবি দিয়ে যাচ্ছিলাম। আমাকে দূর থেকে দেখে দৌড়ে এসে ছেলেটি জড়িয়ে ধরলো। বুঝতে পারছিলাম, শুরুতে সে কথা বলতে বারবার নার্ভাস হয়ে যাচ্ছিল। কথা বলে জানতে পারলাম, ওর বয়স হবে মাত্র ২০-২১ এর মতো।’
তরুণ ভক্তকে নিয়ে কথাগুলো পরবাস থেকে জানান দিলেন ঢাকাই সিনেমার নবাব শাকিব খান। তিনি এখন অবস্থান করছেন আমেরিকা হয়ে দুবাই অঞ্চলে। সেখানেই এই ভক্তের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ।
ভক্তটির সঙ্গে দেখা হওয়ার পর দারুণ সব উপলব্ধি হয় খানের। বললেন, ‘যে বয়সে তার (ভক্ত) লেখাপড়া করার কথা, সেই বয়সে পরিবার স্বজনদের সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে সবকিছু ত্যাগ করে দূর প্রবাসে থেকে পরিবারের হাল ধরেছে। দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে ওভারটাইম খেটে খেয়ে না খেয়ে অর্থ পাঠিয়ে সে তার পরিবারের মুখে হাসি ফোটাচ্ছে। অবদান রাখছে দেশের অর্থনীতিতে। এতেই তার আত্মতুষ্টি! তার চোখেমুখে সেই তৃপ্তির ছাপ স্পষ্ট দেখছিলাম।’
ঢাকা-দুবাই-আমেরিকা হয়ে ফের দুবাইয়ে অবস্থান করছেন শাকিব খান। বিদেশ বিভুয়ে এমন ভক্তের সঙ্গে দেখা হলে বরাবরই আবেগতাড়িত হন। তবে এবারের অভিজ্ঞতাটি তাকে আরও বেশি তাড়িত করে। তার ভাষায়, ‘চাকচিক্যের এই শহরে (দুবাই) চোখ ধাঁধানো অনেককিছু দেখা যায়। কিন্তু আমাকে স্পর্শ করা সবচেয়ে সুন্দর অনুভূতি ছিল এটি। প্রায়ই দেশের বাইরে অচেনা মানুষদের সঙ্গে দেখা হয়। যারা আমাকে হৃদয় নিঙড়ানো ভালোবাসা জানায়। ক্ষণিকের দেখায় পাশে পেয়ে সুখ-দুঃখের অনুভূতি জানায়। এসব গর্বিত মানুষদের সঙ্গে কথা বললে আমিও মনের মধ্যে শীতল প্রশান্তি পাই।’
শাকিব খান মনে করেন, প্রবাসের বিভিন্ন শহরের কোণে লুকিয়ে আছে বাংলাদেশের গর্বিত এসব মানুষেরা। তাদের কারণে সমৃদ্ধ হচ্ছে দেশের অর্থনীতি। সোনার বাংলা গড়তে তারা যে কতটা ভূমিকা রাখছে হয়তো তারা জানে না, অথচ নীরবে কাজ করে যাচ্ছে। তার ভাষায়, ‘আমার চোখে এই মানুষগুলো আসলেই সত্যিকারের হিরো।’
জানা গেছে, শাকিব খান সম্প্রতি ব্যক্তিগত সফরে দুবাই উড়ে গেছেন। সেখান থেকে মাত্র এক সপ্তাহের জন্য উড়াল দিলেন আমেরিকা। ফের ফিরলেন দুবাই শহরে। সেখান থেকে সপ্তাহখানেকের মধ্যে ফিরবেন ঢাকায়।