গ্যালারির প্রায় সব দর্শকই ঘুমিয়ে পড়েছিল। শশ্মান চুপ না থাকলেও পরিবেশটা থমকে আছে। সাকিব আল হাসান ও আফিফ হোসেনের অল্প সময় বিদায়ে হারের শঙ্কা আঁকড়ে ধরেছে। কিন্তু ক্রিস জর্ডানের বলে নাজমুল হোসেন শান্তর বাউন্ডারি হলে পুরো গ্যালারি জুড়ে হৈচৈ পড়ে যায়। প্রবল জোয়ার সব দুশ্চিন্তা কেড়ে নিল। শান্তর দায়িত্বশীল ইনিংস এবং মেহেদি হাসান মিরাজের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে জয়ের মুখ দেখলো বাংলাদেশ।
সহজ মনে করলেও ম্যাচটা হঠাৎ চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠে, তবে শেষ পর্যন্ত হতাশায় পুড়তে হয়নি বাংলাদেশকে। চার উইকেটের জয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়।
ফরম্যাট যেটাই হোক, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয় এতদিন অধরা ছিল। সেই অধরা সাফল্যও এখন ধরা পড়েছে। রোববার শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংলিশদের চার উইকেটে পরাজিত করে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে সাকিবের দল।
এ অর্জনের অনুভূতি কেমন? এই জিজ্ঞাসার জবাবে রবিবার টাইগারদের সাফল্যের মূল রূপকার মেহেদি হাসান মিরাজ সরলভাবে জবাব দেন, ‘এখন আমরা বলতে পারবো, সব দলকে হারিয়েছি ও সিরিজ জিতেছি সব দলের সঙ্গে।’
উচ্ছ্বসিত এবং গর্বিত মিরাজ আরো বলেন, ‘হ্যাঁ। সত্যি প্রতিটা দলের সঙ্গে আমরা সিরিজ জিতেছি, শুধু একটা মাত্র দল ছিল, যাদের আমরা ধরতে পারিনি। সিরিজ জিততে পারিনি। আজকে সেই ইংলিশদের সাথে টি-টোয়েন্টি হয়তো আমরা জিতেছি, খুবই ভালো লেগেছে।’
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড দলকে সিরিজ হারানোর অনুভূতিটা কি অন্য দলগুলোর থেকে আলাদা? বাংলাদেশ অলরাউন্ডার প্রতিটি জয়কেই আনন্দের এবং গৌরবের বললেন।
মিরাজ বলেন, ‘অবশ্যই প্রতিটি দেশের সঙ্গে জিতলে অনেক ভালো লাগে। নির্দিষ্ট করে বলতে পারবো না যে নিউজিল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়াকে হারালে ভালো লাগে। অবশ্যই প্রতিটি দলকে হারালেই আমাদের ফিলিংস একইরকম থাকে। কারণ দিনশেষে, জিতছে কে? বাংলাদেশ। আমরা সবাই জিতেছি, এটা কিন্তু একটা আনন্দের বিষয়। আজকে দেখেন সবাই কিন্তু অনেক খুশি। আপনারা যারা আছেন খুশি, আমরা খুশি, ম্যানেজম্যান্ট খুশি, সারা বাংলাদেশের মানুষ- সবাই খুশি।’
‘আমরা যদি জিতি, বাংলাদেশই জেতে। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে জিতলেও বাংলাদেশ জিতে, নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে জিতলেও বাংলাদেশই। অবশ্যই বড় দলের সঙ্গে হলে আরও ভালো লাগে’- মিরাজের কণ্ঠে উচ্ছ্বাস ঠিকরে পড়ছিল।