সরকারি ভাবে চালু হয়েছে সর্বজনীন পেনশন স্কিম। ১৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার, আজ সকালেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
মোট ৬টি পেনশন স্কিমের মধ্যে আজ চালু করা হয়েছে ৪টি স্কিম। বাকি ২টি পরবর্তীতে চালু করা হবে। সরকারি চাকরিজীবীদের পেনশন ব্যবস্থা থাকায় তাঁরা এই সর্বজনীন স্কিমের আওতাভুক্ত নয়। চারটি স্কিমে ব্যক্তির ৬০ বছর পূর্ণ হলে মিলবে এই সুবিধা।
চালু হওয়া চারটি স্কিম:
১/ প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ‘প্রবাস’
২/ বেসরকারি কর্মচারী-প্রতিষ্ঠানের জন্য ‘প্রগতি’
৩/ স্বকর্ম ও অ-প্রাতিষ্ঠানিক কর্মীর জন্য ‘সুরক্ষা’
এবং
৪/ স্বল্প আয়ের ব্যক্তিদের জন্য ‘সমতা’
আজ বৃহস্পতিবার থেকেই অনলাইন ফরম পূরণ অথবা সরাসরি সোনালী ব্যাংকের যেকোনো শাখায় গিয়ে নিবন্ধন করা যাবে এবং চাঁদা দেওয়া যাবে। মোবাইলে আর্থিক সেবা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেও চাঁদা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। মাসে চাঁদা দেওয়া যাবে ৫০০ থেকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। পেনশন সুবিধা পেতে কমপক্ষে ১০ বছর টাকা জমা দিতে হবে।
স্কিমে অংশ নিতে পেনশন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধনের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্ম তারিখ, মোবাইল নম্বর এবং ই-মেইল ঠিকানাসহ বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে।
১৮ বছর থেকে ৫০ বছর বয়সী সব নাগরিক নির্ধারিত হারে চাঁদা পরিশোধ করে ৬০ বছর পূর্তির পর আজীবন পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারবে।
পেনশন কর্তৃপক্ষের সূত্রগুলো জানায়, চারটি স্কিমের জন্য আলাদা চারটি হিসাব খোলা হয়েছে সোনালী ব্যাংকে। এ হিসাবগুলোতে টাকা জমা হবে। সোনালী ব্যাংক দিয়ে যাত্রা শুরু হলেও পরে অন্য ব্যাংকও যুক্ত হবে।
এরই মধ্যে সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা-২০২৩ এর গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। গত নির্বাচনী ইশতেহারে সর্বজনীন পেনশন চালুর প্রতিশ্রুতি দেয় আওয়ামী লীগ। সেটাই চালু হলো আজ।