১৯ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০২:২৭:৫২ অপরাহ্ন


যে অস্ত্র জমা দিয়েছি, কিন্তু ট্রেনিং জমা দিইনি: নুসরাত ইমরোজ তিশা
সোহেল জুলফিকার
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০২৩-১২-০৬ ১৯:০৪:০৫
যে অস্ত্র জমা দিয়েছি, কিন্তু ট্রেনিং জমা দিইনি: নুসরাত ইমরোজ তিশা নুসরাত ইমরোজ তিশা


নতুন প্রজন্মের দর্শকেরা অনেকেই চেনেন না ২৫ বছর আগের নুসরাত ইমরোজ তিশাকে। একসময় যে এই দুর্দান্ত অভিনেত্রী ছিলেন সংগীতশিল্পী। নতুন কুঁড়িতে গানের বিভিন্ন বিভাগে অংশ নেন  ছোট্ট তিশা। এর মধ্যে আধুনিক গান, ছড়াগান, দেশাত্মবোধক গান, নাচ, গল্প বলা—সব কটি বিভাগে চ্যাম্পিয়ন ছিলেন তিনি।

 ১৯৯৫ সালে নতুন কুঁড়ির গোল্ডকাপটাও উঠে তাঁরই হাতে। গানে নিয়মিত না হলেও অভিনয়টা নিয়মিত করতেন তিনি। ১৫ বছর আগে অভিনয়ের পাশাপাশি তাঁর একটি গানের দলও ছিল। পরবর্তীতে গানকে পাশ কাটিয়ে অভিনয়ে তুমুল ব্যস্ত হয়ে ওঠেন তিশা। ‘অটোবায়োগ্রাফি’ গানের পরিকল্পনা করার পেছনে কি ভাবনা কাজ করেছে, এমন প্রসঙ্গ প্রশ্ন করলে তিশা বললেন, ‘কোনো পরিকল্পনা ছিল না। একদম অপরিকল্পিতভাবে গানটি গেয়েছি। গানটা যখন লেখা হয়, সুর হয় শুনেই আমার মনে হয়েছে এই গানটা আমি গাইতে চাই। অনেক বছর পর একটা গান শুনে মনে হয়েছে, এটা আমি গাইতে চাই। আমি জানি না তখনো, গানটা গাইতে পারব কি পারব না। আমার গলায় মানাবে কি মানাবে না। এরপর সরয়ার শুনেই বলল যে তুমি গেয়ে দেখ। স্টুডিওতে যাওয়ার পর দেখি, ঠিক আছে। তা ছাড়া সিনেমার যে উদ্দেশ্য, যে আবেগ, সিনেমাটা তো আসলে বায়োপিক, আমাদের জীবনের কিছু অংশ এখানে আছে। গানটার মধ্যে আমাদের জীবনের কিছু অংশ যেহেতু আছে, আমার গলায় গাওয়াটা উচিত হবে।’ 

২৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় গানটির কাজ শেষ করেন তিশা। এরপর জিন্দাপার্কে গানটির ভিডিও চিত্রের শুটিং হয়।

নাটক–সিনেমার ডাবিংয়ের জন্য প্রায়ই মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়াতে হয়ে তিশাকে। এতে কখনোই কোনো ভয় বা জড়তা কাজ করে না তাঁর। কিন্তু এবার বেপারটা ভিন্ন ছিল। জানালেন, অটোবায়োগ্রাফি গানটি গাইবার সময় মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়াতে ভয় লাগছিল তাঁর। তিশা বললেন, ‘গানটা শুনে খুব সহজ মনে হলেও গাইতে খুব কঠিন মনে হয়। কতটা কঠিন। এমনিতে প্র্যাকটিস নেই। কিন্তু গাইবার পর মনে হলো, আমি সেই যোদ্ধা, যে অস্ত্র জমা দিয়েছি, কিন্তু ট্রেনিং জমা দিইনি। (হাসি)।’ অটোবায়োগ্রাফি গানটা একদম পারিবারিক পরিবেশে তৈরি হয়েছে। পাভেল আরীনকে তো ‘মাই বাডি’ বলেন তিশা। তিশা বললেন, ‘পাভেলকে অনেক দিন ধরেই বলছিলাম, একটা গান গাইতে চাই। একটা গান বানাও। পাভেলও বলছিল, হ্যাঁ, তিশা আপু, আপনার একটা গান বানানো উচিত। ফারুকী ভাইকে বলেন একটা গান লিখতে, আমরা মিউজিক বানিয়ে গানটা তৈরি করি। ওই গান গাইতে হবে, গান গাইতে চাই, এসবের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিলাম। বহু বছর পর মনে হলো, আর চাওয়াচাওয়ি নাই, এটাই গাইতে চাই।’