ক্রিকেট দুনিয়া এমন কিছু না হলেও একটা খবর আগুনের বেগে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের মধ্যে যারা ক্রিকেট প্রেমী এবং ক্রিকেটের নানান খবর নিয়ে মেতে থাকেন, তাদের একটি বড় অংশের বিশ্বাস-বিশ্বকাপ চলাকালীন বাংলাদেশ হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ক্রিকেটার নাসুম আহমেদের গালে চড় মেরেছিলেন এবং নাসুমকে নানাভাবে অপমান অপদস্ত করেছিলেন।
বিশ্বকাপের সময় হাথুরুসিংহে নাসুমের থাপ্পড় মেরেছেন, এমন মুখরোচক খবর এখনও আলোচিত ফেসবুক এবং ইউটুবে। মূলত একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে এ খবর ফলাও করে প্রচার হয়। যা এক নিমিষেই সাধরাণ ক্রিকেট অনুরাগীরা বিশ্বাস করেছেন।
এখানেই শেষ নয়। ইন্টার্নি করতে আসা হেড কোচ হাথুরুসিংহের ছেলে ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত- এমন নিউজও হয়েছে ওই বেসরকারি টিভি চ্যানেলে। এ ব্যাপারে এতদিন নীরব ছিল বিসিবি।
অবশেষে আজ শনিবার ঢাকা টেস্ট ম্যাচ শেষে মুখ খুলেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি পরিষ্কার জানিয়েছেন, এসব সব মিথ্যা খবর।
তিনি এমন কিছুই শুনেননি। পাপন বলেন, ‘আমি অনেক দিন ধরেই দেখছি। ডাহা মিথ্যা খবর। এরপর আর কিছু বলার নাই।’
বিসিবি প্রধানের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, হেড কোচের কাছে নাসুম আহমেদের লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনা কি সত্য? জাতীয় দলের পরিচর্যার দায়িত্বে থাকা ক্রিকেট অপস কি তা জানতো? বিসিবি প্রধান জবাবে বলেন, ‘আমি জানি না। আমি কোনোদিনই শুনিনি এমন ঘটনা। আমি এই ধরনের কোনো কথাই শুনিনি। এমনকি যখন এটা টিভিতে প্রচার করা হলো এবং এখানটায় ফার্স্ট একটা জিনিসই আমি ওনাদেরকে বলেছি, যারাই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, এখানটাই যেটা বলা হয়েছে যে- আমি কোচকে শাসিয়েছি সামথিং লাইক দ্যাট। আমি তো জানিনা। এরপর আমার তো কিছু বলার নাই। যে জিনিসটা আমি জানি মিথ্যা। সেই জিনিসটা নিয়ে আর কী বলবো?’
হাথুরুর ছেলেকে ফিক্সার বানানোকে ‘ডাহা মিথ্যে’ বলে উল্লেখ করে পাপন এ সম্পর্কে বিরাট ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘তাকে (হাথুরুর ছেলেকে) আমরা ইন্টার্নশিপ করতে দিয়েছি বিসিবির। সে ইন্টার্নশিপ করতে এসেছিল। সমস্যাটা হয়েছে এখানে একাধিক। আমি এখানে মিডিয়াকে দোষ দিচ্ছি না। আগে একটা সময় ছিল, যখন নাকি আমি আরও বেশি ইনভলভড ছিলাম এই সমস্ত ব্যাপারে। আমি রেগুলার আপনাদের (সাংবাদিক) সঙ্গে কমিউনিকেট করতাম। এই ৭-৮ মাস যখন আমি বন্ধ করেছি, আসলে বিসিবির সঙ্গেও কমিনিউকেশন বন্ধ হয়ে গেছে।’