মা হতে চলেছেন জেনিফার লরেন্স। অভিনেত্রীর প্রতিনিধি ভোগ ম্যাগাজিনকে নিশ্চিত করেছেন খবরটি। ১৯ অক্টোবর রাতে তিনি লস অ্যাঞ্জেলেসে ডিনারের জন্য বের হন, তখন তাকে লা লিনে ব্র্যান্ডের একটি টি-শার্ট এবং সোয়েটার পরিহিত অবস্থায় দেখা যায়, যেখানে তার বেবি বাম্প লক্ষ্য করা যাচ্ছিলো।
লরেন্স ও তার স্বামী, আর্ট গ্যালারিস্ট কুক ম্যারোনি, ইতিমধ্যে দুই বছরের একটি ছেলে সাই-এর গর্বিত মা-বাবা। ২০১৯ সালের অক্টোবরে এই দম্পতি রোড আইল্যান্ডের নিউপোর্টে অবস্থিত বেলকোর্ট ম্যানশনে বিয়ে করেন।
ফের মাতৃত্বের খবরটি লরেন্সের জীবনের ব্যস্ত অধ্যায়ের আরেকটি নতুন পৃষ্ঠা। ২৫ অক্টোবর নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস, অস্টিন এবং সান আন্তোনিওতে মুক্তি পাচ্ছে ‘জুরাস্কি বনাম টেক্সাস’ নামক তথ্যচিত্র, যা লরেন্স হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে যৌথভাবে প্রযোজনা করেছেন। এই তথ্যচিত্রের মাধ্যমে টেক্সাসের কঠোর গর্ভপাতবিরোধী আইনের প্রভাব তুলে ধরা হয়েছে।
পরিচালক মেইসি ক্রো ডেডলাইন-এ বলেন, ‘আমরা মনে করেছি, শুধুমাত্র নিউইয়র্ক এবং লস অ্যাঞ্জেলেসের মতো বড় শহরে নয়, টেক্সাসের বিভিন্ন অঞ্চলেও ছবিটি মুক্তি দেওয়া জরুরি, যাতে মানুষ বুঝতে পারে এই নিষেধাজ্ঞাগুলো কীভাবে বাস্তবে কার্যকর হচ্ছে।’
একদিকে গর্ভপাতবিরোধী তথ্যচিত্র অন্যদিকে বাস্তবেও লরেন্স মা হতে চলেছেন; ঘটনাটি মিরাকল নাকি পরিকল্পিত, সেটাও ভাবছেন অনেকে!
এদিকে নভেম্বরের শেষের দিকে লরেন্সের আরেক তথ্যচিত্র ‘ব্রেড অ্যান্ড রোজেস’ উন্মুক্ত হবে অ্যাপল টিভি প্লাসে। লরেন্স এই প্রজেক্টটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছেন মালালা ইউসুফজাইয়ের সঙ্গে। আফগানিস্তানের তালেবান শাসিত কাবুলে বসবাসরত নারীদের জীবন নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্রটি।
অভিনয় জগতে লরেন্সের নাম রয়েছে সমালোচকদের প্রশংসা কুড়ানো ‘সিলভার লাইনিংস প্লেবুক’-এর মতো চলচ্চিত্র এবং ‘দ্য হাঙ্গার গেমস’ সিরিজের বক্স অফিস হিটগুলোর জন্য। সম্প্রতি তিনি লিন র্যামসে পরিচালিত ‘ডাই, মাই লাভ’ ছবির শুটিং শেষ করেছেন, যেখানে তার সহ-অভিনেতা ছিলেন রবার্ট প্যাটিনসন। কিন্তু এখন লরেন্স অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনাতেও মনোযোগী, বিশেষত নারীদের সমস্যা এবং সামাজিক ইস্যু নিয়ে তথ্যচিত্র নির্মাণে। তার নিজস্ব প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এক্সিলেন্ট কাডাভের থেকে এই ধরনের কাজগুলো পরিচালিত হচ্ছে।
অক্টোবর ২০২২-এ ভোগ ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লরেন্স তার এই পরিবর্তনের আভাস দিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি প্রসঙ্গে কথা বলেন। লরেন্স বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করলে রাজনীতি থেকে দূরে থাকা যায় না। এটা খুবই ভয়ানক। রাজনীতি মানুষকে মেরে ফেলছে।’