বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য টিম টাইগার গিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। উদ্দেশ্য দেশটির বিপক্ষে দুটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি হেসে-খেলে ওয়ার্ম-আপ করবে সোহান-আফিফরা।
না, তা আর হলো না। প্রথম ম্যাচেই আনাড়ী আরব আমিরাতের কাছে হারতে হারতে অনেক কষ্টে জিতেছে টিম টাইগার। যদিও আফিফ হোসেন খেলেছেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।
রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৭ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে স্বাগতিকদের সামনে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রানের লক্ষ্য দেয় নুরুল হাসান সোহানের দল। জবাব দিতে নেমে সব উইকেট হারিয়ে জয়ের ৭ রাত আগেই গ্রিনরুমে ফেরে আরব আমিরাত।
প্রায় নতুন চেহারার বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো হয়নি। ইনিংস ওপেন করতে নামেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাব্বির রহমান। দুজনেই ব্যর্থ হয়ে ফিরেছেন। সাব্বির ৩ বলের মোকাবিলা করলেও রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নিয়েছেন। মিরাজ ১৪ বল খেললেও করেছেন মাত্র ১২ রান।
মূলত ওপেনার হলেও লিটন দাস নামেন তিনে। তিন বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছেন এই ডানহাতি ব্যাটারও। করেছেন ৮ বলে ১৩ রান। এরপর ইয়াসির আলী (৪) ও মোসাদ্দেক হোসেন (৩) পারেননি জুটি গড়তে। ৭৭ রানে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশ দলীয় ৭৭ রানে হারায় পঞ্চম উইকেট। তবে একপ্রান্ত আগলে রাখেন আফিফ।
একপ্রান্তে নিয়মিত উইকেটের পতন হলেও রানের খাতা সচল রাখেন আফিফ। যদিও ব্যক্তিগত ১ এবং ৬৪ রানে ‘জীবন’ পেয়েছেন তিনি। তবে সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন ৫০তম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা এই ব্যাটার। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৩৮ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি।
অন্যপ্রান্তে নতুন আসা নুরুল হাসান সোহানও দেন যোগ্য সঙ্গ। ৫৪ বলে তাদের ৮১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ভর করেই ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ৫৫ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৭৭ রানে অপরাজিত থাকেন আফিফ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটাই তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ইনিংস। অন্যদিকে ২টি করে চার ও ছক্কায় ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন সোহান।
বাংলাদেশকে জবাব দিতে নেমে শুরুটা মন্দ হয়নি আরব আমিরাতের। তাদের ২৭ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে মোহাম্মদ ওয়াসেম রান আউট হলে। ১৫ বলে ১৫ রান করেন এই ব্যাটার। এরপর আরিয়ান লারকাকে সঙ্গে নিয়ে ৩৯ রানের জুটি গড়েন চিরাগ সুরি।
১ উইকেট হারিয়ে ৬৬ রান করে বাংলাদেশের মনে বেশ ভয়ই ধরিয়ে দিয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। ৭ চারে ২৪ বলে ৩৯ রান করা চিরাগ সুরিকে আউট করে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপর ১৫ বলে ১৯ রান করা আরিয়ান লারকাকে শরিফুল ইসলামের ক্যাচ বানান তিনি।
ভেঙে যায় আরব আমিরাতের ব্যাটিংয়ের মূল ভিত্তি। এরপর কোনো ব্যাটারই সেভাবে প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। অলআউট হলেও ব্যবধান অবশ্য কাছাকাছিই নিয়ে এসেছিল তারা। কিন্তু কোনো ব্যাটার ফিনিশ করতে পারেননি কাজ। শেষদিকে ১৭ বলে ২৫ রান করে চেষ্টা করেছিলেন কেবল আয়ান আফজাল খান।
বাংলাদেশের পক্ষে ৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৩ ওভার ৪ বল হাত ঘুরিয়ে তিন উইকেট পেয়েছেন শরিফুল ইসলামও। এছাড়া ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান।