বিশ্বকাপে ৬০ টি ম্যাচে
শেষ ‘আল রিহলা’র যাত্রা। সেমি ফাইনাল থেকে শেষ চার ম্যাচে থাকবে
‘আল হিলম’। কথা হচ্ছে বিশ্বকাপের বল নিয়ে। নতুন বলটির নাম
‘আল হিলম’, বাংলা অর্থ করলে দাঁড়ায় স্বপ্ন। আর আগের বল ছিল
‘আল রিহলা’।
জগদ্বিখ্যাত পর্যটক ইবনে
বতুতা লিখা ভ্রমণকাহিনী ‘দ্য রিহলা’র নামেই এবারের বিশ্বকাপের বলের নামকরণ করা হয়েছে।
আরবিতে আল ‘রিহলা’ শব্দের অর্থ ভ্রমণ। গ্রুপ পর্বে থেকে কোয়ার্টার
ফাইনাল পর্যন্ত ৬০ ম্যাচ এই রিহলা দিয়ে খেলা হয়েছে। কিন্তু সেমিফাইনাল
ও ফাইনালে ফিফার অফিসিয়াল বল আল রিহলা দিয়ে খেলা হবে না। হবে নতুন বল আল হিলম দিয়ে।
নতুন বলটিতে অনন্য গ্রাফিক
ডিজাইন রয়েছে। এটি আল রিহলা থেকে আলাদা। তবে এতেও আল রিহলার মতোই ‘কানেক্টেড বল’ প্রযুক্তি থাকবে, যা আধা-স্বয়ংক্রিয় অফসাইড সিদ্ধান্ত
দ্রুত এবং আরও নির্ভুল করতে ভূমিকা রেখেছে।
বলের নকশায় একটি টেক্সচারযুক্ত
সোনালি রঙের ওপর স্থাপন করা হয়েছে। যা একটি সূক্ষ্ম ত্রিভুজাকার প্যাটার্নের। যা দোহাকে
ঘিরে থাকা অঞ্চলের ঝকঝকে মরুভূমি থেকে অনুপ্রেরণা, বিশ্বকাপ ট্রফির রঙ এবং কাতারের
পতাকার প্যাটার্ন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
প্রতিটি বিশ্বকাপের আসরেই
আলাদা আলাদা বল ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কাতার বিশ্বকাপের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
১৯৭০ সাল থেকে বিশ্বকাপের প্রতিটি আসরেই বল তৈরি করছে জার্মান বহুজাতিক ক্রীড়াসামগ্রী
নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস। সেই ধারাবাহিকতায় এবার ১৪তম বারের মতো ফিফা বিশ্বকাপের
বল তৈরি করেছে তারা।
আল হিলমকে পরিবেশবান্ধব
হিসেবে তৈরি করার চেষ্টা করেছে অ্যাডিডাস। এটিই ফিফার প্রথম বিশ্বকাপ বল যাতে জলভিত্তিক
কালি ও আঠা ব্যবহার করা হয়েছে।