থাইল্যান্ডকে হারিয়ে দুই দিন আগে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিট কেটে ফেলে বাংলাদেশের মেয়েরা। ফলে রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বাছাইপর্বের ফাইনালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি সেই অর্থে খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। তারপরও নিগার সুলতানার দল অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েই দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার টিকিট কাটল। এদিন আইরিশদের ৭ রানে হারিয়েছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে আয়ারল্যান্ডকে ১২১ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ। মামুলি লক্ষ্য তাড়ায় খেলতে নেমে বাংলাদেশের স্পিনারদের ঘূর্ণিতে কুপোকাত হয় আইরিশ ব্যাটাররা। ২৪ রানে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়ে খেই হারানো আয়ারল্যান্ডকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন অধিনায়ক লরা ডেলানি ও ইমার রিচার্ডসন। কিন্তু রিচার্ডসন ১৫ বলে ১৮ রান করে রুমানার শিকারে পরিণত হন।
এরপর ১১ রানের মধ্যে আইরিশরা আরও তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে। উইকেটকিপার ব্যাটার মেরি ওয়ালড্রন ১৭ বলে ১৯ রান করে বাংলাদেশের ওপর কিছুটা চাপ বাড়ান। পরে সোহেলি আক্তারের বলে আউট হলে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও আর্লিন কেলির ২৪ বলে ২৮ এবং কারা মৌরির ১০ বলে ১৩ রানের ইনিংসে ভয় বাড়ে নিগারের দলের। যদিও শেষ অব্দি ৯ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রানে থেমে যায় আইরিশদের ইনিংস।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে লেগ স্পিনার রুমানা আহমেদ সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া সানজিদা আক্তার মেঘলা, নাহিদা আক্তার ও সোহেলী আক্তার নেন দুটি করে উইকেট।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ২৩ রানে ওপেনার মুর্শিদা খাতুন (৬) রানে সাজঘরে ফেরেন। তিন নম্বরে নামা অধিনায়ক নিগার সুলতানাও বেশিক্ষণ ঠিকতে পারেননি। ১১ বলে ৬ রান করে তিনিও আউট হন। চতুর্থ উইকেটে রুমানা আহমেদকে নিয়ে ওপেনার ফারজানা হক পিংকি ৪৯ রানের জুটি গড়েন। রুমানা ২০ বলে ২১ রানে আউট হয়ে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়ে যায় বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে ফারজানার অনবদ্য ৬১ রানের ইনিংসে বাংলাদেশ কোনওরকমে ১২০ রানের সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারে। ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পথে ফারজানা ৫৫ বলে ৭ চারে নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন। ফারজানা ও রুমানা ছাড়া আর কোনও ব্যাটারই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেনি।
আইরিশদের বোলারদের মধ্যে লরা ডেলানি সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া আর্লিন কেলি ও কারা মৌরি দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।