‘ন ডরাই’ ছবির কথা সবারই জানা, সার্ফিং নিয়ে দেশের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এটি। যা দর্শক মুগ্ধতা পেরিয়ে জিতে নেয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ৬টি শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি। ২০১৮-১৯ সালে ছবিটি নির্মাণ করেছে দেশের প্রথম মাল্টিপ্লেক্স প্রতিষ্ঠান স্টার সিনেপ্লেক্স।
প্রশংসিত প্রদর্শনের ১৮ বছর অতিক্রম করে শনিবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় দারুণ খবর দিলো দেশের সবচেয়ে বড় এই মাল্টিপ্লেক্স চেইন কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটি একসঙ্গে ৪টি ছবি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে।
শনিবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এসকেএস টাওয়ার (মহাখালী) শাখায় আয়োজিত বর্ণাঢ্য জন্মোৎসবে এমন ঘোষণা দেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান।
তিনি বলেন, ‘আমরা ৪টি পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। স্ক্রিপ্ট চলছে। আশা করছি, আসছে বছরে অন্তত ৩টি সিনেমা আমরা আপনাদের উপহার দিতে পারবো। কারণ, বাংলা সিনেমার এই হাওয়া আমাদের সবাইকে মিলে ধরে রাখতে হবে।’
এসময় তিনি স্টার সিনেপ্লেক্স-এর শাখা ঢাকার বাইরে ছড়িয়ে দেওয়ার কথাও জানান। যে তালিকায় রয়েছে চট্টগ্রাম, বগুড়া, রাজশাহী, কক্সবাজার, সিলেট, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। মাহবুব রহমান বলেন, ‘‘আজ আমরা ১৮ বছর অতিক্রম করলাম। আশা করছি এখন থেকে সেন্সরবোর্ড আমাদেরকে ১৮+ সিনেমাও চালানোর অনুমতি দেবেন। তারচেয়ে বড় বিষয়, ১৮ বছরে আমরা ১৮টি স্ক্রিন দিতে পেরেছি। কিন্তু আমার লক্ষ্য সেঞ্চুরি। সেই লক্ষ্যে আমি নিরন্তর কাজ করে চলেছি। এরমধ্যে অনেকগুলো জেলায় প্রজেক্ট চলছে, কিছু জেলায় জায়গা খুঁজছি। আমার বিশ্বাস আমরা যদিও ১০০ স্ক্রিন যোগ করতে পারি, সঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে উদ্যোগ- সেখান থেকেও ১০০টি স্ক্রিন হবে দ্রুত। দুটো মিলিয়ে আমাদের প্রেক্ষাগৃহ সংকট কেটে যাবে বলে বিশ্বাস করি। এরজন্য প্রয়োজন, ‘পরাণ’, ‘হাওয়া’, ‘অপারেশন সুন্দরবন’ এবং ‘দামাল’-এর মতো ছবি।’’
এসময় মুক্তিপ্রতীক্ষিত ‘দামাল’ টিম (রায়হান রাফী, সিয়াম আহমেদ, মীম প্রমুখ) উপস্থিত ছিলো। আরও ছিলেন ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ আজমেরী হক বাঁধন, ‘ন ডরাই’ সুনেরাহ বিনতে কামাল, ‘বিশ্বসুন্দরী’ চয়নিকা চৌধুরী, ‘অপারেশন সুন্দরবন’ দীপংকর দীপন, ‘চাদর’ সাইমনসহ অনেকেই।
২০০৪ সালের এই দিনে (৮ অক্টোবর) রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে স্টার সিনেপ্লেক্সে প্রথম শাখার যাত্রা হয়। গত ১৮ বছরের প্রতিষ্ঠানটি আরও শাখা খুলেছে রাজধানীর ধানমন্ডি, মহাখালী, বিজয় সরণি ও মিরপুরে।