বিশ্ব জয় করা দক্ষিণ কোরিয়ার পপ ব্যান্ড বিটিএস সদস্যরা দেশটির সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে তাদের এজেন্টরা। ১৭ অক্টোবর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার আইন অনুযায়ী, দেশের ১৮-২৮ বছর বয়সী সুস্থ পুরুষদের অবশ্যই দুই বছর সেনাবাহিনীতে দায়িত্ব পালন করতে হয়। তবে বিটিএসের ক্ষেত্রে নিয়মের কিছুটা ব্যতিক্রম ঘটেছে। গত বছর তাদের জন্য বয়সসীমা ৩০ বছর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। বিটিএস সদস্যদের মধ্যে সবচেয়ে বয়স্ক গায়ক জিন এর বয়স এখন ২৯ বছর, তাই খুব শীঘ্রই সাতজনই একসঙ্গে যোগ দেবেন সেনাবাহিনীতে।
বিটিএসের ব্যবস্থাপনা টিম জানিয়েছে, আগামী মাস থেকেই প্রস্তুতি শুরু করবেন জিন। দলের সাত সদস্যের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠজনের বয়স ২৪ বছর; তিনিও বাকিদের সঙ্গেই যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
প্রতিবেশী দেশ উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে এখনও সংঘাতে জড়িয়ে থাকার কারণে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের সামরিক বাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক। ২০২০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার সংসদে একটি বিল পাশের মাধ্যমে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পপ তারকাদের ৩০ বছর বয়স অবধি সেনাবাহিনীতে যোগদান মুলতবি রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
গত দুই বছর যাবৎ বিশ্বের সবচেয়ে বেস্ট-সেলিং শিল্পীগোষ্ঠীর তকমা নিজেদের দখলে নিয়ে রেখেছে বিটিএস। শুধু গানই নয়, গানের তালের সঙ্গে তাদের নাচগুলোও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তাছাড়া, তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে পরামর্শ দেওয়ার জন্যও খ্যাতি কুড়িয়েছে এই দলটি।
দক্ষিণ কোরিয়ার অসংখ্য নাগরিক বিটিএস সদস্যদের জাতীয় সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করেন। দেশটির কয়েকজন আইনপ্রণেতা পরামর্শ দিয়েছেন, বিটিএস যেন পারফর্ম করা বজায় রাখতে পারে, সেজন্য তাদের সেনাবাহিনীতে যোগদানের নিয়ম থেকে রেহাই দেওয়া উচিত। এর আগে অলিম্পিক মেডেলিস্ট, ক্লাসিক্যাল সঙ্গীতশিল্পী ও নৃত্যশিল্পীসহ একাধিক হাই-প্রোফাইল ক্রীড়া তারকাকে এই নিয়ম থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।
তবে এ বছরের আগস্টে বিটিএসের সেনাবাহিনীতে যোগদান প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লি জং বলেছিলেন, ‘সেনাবাহিনীতে থাকাকালীনও বিটিএস পারফর্ম করে যেতে পারবে; তাদের একসঙ্গে অনুশীলন ও পারফর্মের সুযোগ দেওয়া হবে।’