০৬ নভেম্বর ২০২৪, বুধবার, ০৯:২২:২৬ পূর্বাহ্ন


অস্থির চোখে গভীর ঘুম এনে দেবে টিকটক!
আগন্তুক আলেয়া
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০২২-১২-২৫ ০০:৫৮:৪৮
অস্থির চোখে গভীর ঘুম এনে দেবে টিকটক!


এখন আর চাঁদ মামা ঘুম এনে দিতে পারে না। বরং চাঁদের দিকে চেয়েই নির্ঘুম ছটফট কাটাতে হয় গোটা রাত। এ,ন পরিস্থিতি যখন ঘরে ঘরে তখন রাতে নির্ভেজাল গভীর ঘুম এনে দেওয়ার ম্যাজিক বার্তা দিলো টিকটক! 

ভালো করে ঘুম না হলে সারাদিন কাজের শক্তি পাওয়া যায় না। ঝিমোতে ঝিমোতে কাটে দিনের বেশিরভাগটাই। তাই ভালো করে ঘুমোনোর জন্য নানারকম চেষ্টাও জারি থাকে‌। কেউ রাতে ঘুমোনোর জন্য অনেক আগেই খাওয়াদাওয়া করে নেন। কেউ আবার সারাদিন একটানা কাজ করেন। বিছানায় পড়লেই যাতে চোখে ঘুম চলে আসে। কোনও রকম শব্দে ঘুমের ব্যাঘাত যাতে না ঘটে, তাই অনেকে কানে তুলো গুঁজেও ঘুমোন। কিন্তু সবসময় এই টোটকাগুলিতে লাভ হয় না। সম্প্রতি টিকটকাররা একটি নতুন টোটকার হদিশ দিচ্ছেন। সেটিও কিন্তু বাজিয়ে দেখা যেতে পারে। যদি ঘুম চলে আসে চটপট!

টিকটকারদের নতুন ট্রেন্ড হলো ঘুমের এই বিশেষ টোটকা। তাদের বেশ কয়েকজনের কথায়, কানের কাছে একটানা একটি বিশেষ শব্দ বাজালে ঘুম এমনিই আসবে। খুব বেশিক্ষণ নয়, কয়েক মিনিট শুনলেই চোখ ঘুমে ঢুলে পড়বে। অনিদ্রায় ভোগেন এমন ব্যক্তিদের ব্রাউন নয়েস নামের এই শব্দ নাকি নিয়মিত শোনা উচিত‌। তাহলে আর ঘুম নিয়ে রোজ চিন্তায় পড়তে হবে না। ব্রাউন নয়েসের বেশ কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়‌। তার একটিতে দেখা যাচ্ছে, একজন ক্যামেরার সামনে বসে যন্ত্রে শব্দটি বাজাচ্ছে। দাবি করা হচ্ছে, মাত্র ৬০ সেকেন্ড শুনলেই বোঝা যাবে ঠিক কতটা তফাত হতে পারে।

টিকটকারদের দাবি একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছে না বিজ্ঞান। দ্য কনভারসেশনে সম্প্রতি এই নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তাতে বলা হয়, ব্রাউন নয়েস একরকমের কম তরঙ্গের শব্দ। এটি নিয়মিত শুনলে ঘুমে তলিয়ে যাওয়া অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়। অনেকে শব্দের মধ্যে ঘুমোতে পারেন না। এটা যেমন সত্যি, তেমনই এটাও ঠিক যে অনেকে হালকা গান বা গুণগুণানি শুনে ঘুমিয়ে পড়েন। শিশুরাও তেমনই মায়ের গুণগুণ গান শুনে ঘুমিয়ে পড়ে। এছাড়াও রাতে অনেকে হালকা গান শুনে ঘুমোতে ভালোবাসেন। একে বিজ্ঞানের পরিভাষায় হোয়াইট নয়েস বলা হয়। তেমনভাবেই কাজ করে ব্রাউন নয়েস।

ভালো ঘুমের জন্য অনেকেই নানারকম টোটকার সাহায্য নেন। তেমনই এটি শুনে দেখতে পারেন।