বিরাট সত্য, বিরাট সুন্দর। বিরাট সত্যিই বিরাট। বিরাটরা কখনও হারিয়ে যান না, আরও বিরাট হয়ে ফিরে ফিরে আসেন। সালাম তোমায়, কুর্নিশ কিং কোহলি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মেলবোর্নের মাঠে রবিবারের (২৩ অক্টোবর) ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ শেষে এভাবেই প্রতিক্রিয়া জানান ক্রিকেট সাংবাদিক শান্ত মাহমুদ।
১৬০ রানের লক্ষ্য। যে দলে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়াদের মতো ব্যাটসম্যান আছেন, তাদের জন্য এই লক্ষ্য আর এমন কী! কিন্তু প্রতিপক্ষ পাকিস্তান হলে অনেক কিছুই হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। হচ্ছিলও তেমনি, মাঝারি লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে ৩১ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে মাঝ দরিয়ায় পড়ে যায় ভারত।
এই ভাঙনের সুরের মাঝেও অবিচল ছিলেন ক্যারিয়ার নিয়ে সমালোচনায় প্রায় ডুবতে থাকা কোহলি। নিজে ডুবু ডুবু হলেও টিম-পতনের সুরে মোটেই কান পাতেননি কিং-কোহলি। পরে তার সঙ্গে যোগ দেন পান্ডিয়াও। দুজনের ৭৮ বলে ১১৩ রানের জুটিতে রোমাঞ্চকর ম্যাচ জিতেছে ভারত। আর চাপের বোঝা মাথায় নিয়ে অবিশ্বাস্য এক ইনিংস খেলেছেন কোহলি। তার এমন ইনিংস দেখার পর অভিভূত সাবেক টাইগার কাপ্তান মাশরাফি বিন মুর্তজা।
বাংলাদেশের সফলতম ওয়ানডে অধিনায়কের মতে, এমন ব্যাটিং তিনি আগে কখনও দেখেননি। কোহলিকে প্রশংসায় ভাসিয়ে মাশরাফি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টের দেয়ালে লিখেছেন, ‘কোহলির ৭১টা সেঞ্চুরির অনেকগুলো দেখেছি, কিন্তু এ রকম ইনিংস কেউ খেলতে পারে আমার জানা ছিল না।’
‘উইকেট পড়ে গেলে গেম নতুন করে সাজানো এবং স্ট্রাইক রোটেড করে ম্যাচ গভীরে নেওয়া এবং ঠিক সময়মতো কাউন্টার অ্যাটাক করা, তাও সভলভাবে। কী পরিমাণ কনফিডেন্স নিজের প্রতি! একটা জিনিস পরিষ্কার, বিরাটের ধারে কাছে কেউ নাই এবং তার খারাপ সময়টা ছিলো জাস্ট ফ্লুক।’ যোগ করলেন সংসদ সদস্য মাশরাফি।
এমন ব্যাটিং আগে কখনও দেখেননি জানিয়ে মাশরাফি তার পোস্টে আরও লিখেছেন, ‘আমি জীবনে এমন ব্যাটিং দেখি নাই আর দেখলেও এভাবে অংকের মতো মিলিয়ে ইনিংস শেষ করতে দেখি নাই। হোয়াট আ ব্যাটসম্যানশিপ! আ কিং ইজ অলওয়েজ কিং।’
অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে দলকে জেতানোর পর প্রশংসায় ভাসছেন কোহলি। বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান পাকিস্তানের বিশ্বমানের বোলিংয়ের বিপক্ষে, কঠিন সময়েও ৫৩ বলে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৮২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। ৪৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করা কোহলি শেষ ১০ বলে তোলেন ৩০ রান।