কাতার বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় ম্যাচটি শুরুই হয়েছিল মন্থর গতিতে।
প্রথম ৩৪ মিনিটে কোনও আক্রমণ শানাতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া ও আর্জেন্টিনার কেউই। তবে ৩৫
মিনিটে ওতামেন্ডির কাছ থেকে পাওয়া বলটি গোলে পরিণত করেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল
মেসি। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে ম্যাচ বিরতিতে যায় উভয় দল।
সেকেন্ড হাফের শুরুটাও হয় নড়বড়ে। বলার মতো কোনও আক্রমণই হয়নি। তবে ৫৭
মিনিটে ডি বক্সে অস্ট্রেলিয়ার গোলরক্ষকের কাছ থেকে প্রায় লুট করা বলটি জালে ঠুকে দেন
হুলিয়ান আলভারেজ। লাতিনরা এগিয়ে যায় ২-০ গোলে।
এরপর কয়েক মিনিটের মধ্যে চার পরিবর্তন অস্ট্রেলিয়ার শিবিরে। যেন ম্যাচে ফেরার বার্তা। শুরু করে প্রেস। বল নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে আর্জেন্টিনার গোলমুখে। তবে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা মিলছে না।
ম্যাচের ৭৭ মিনিটে ২৫ ইয়ার্ড দূর থেকে অস্ট্রেলিয়ান ফরোয়ার্ড গুডউইনের বুলেট শট। বলটি আর্জেন্টিনার এনজো ফার্নান্দেজের গায়ে ঢুকে যায় জালে। চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া এমি মার্টিনেজের কোনও উপায় ছিল না। খেলা ফেরে ২-১-এ। ৮২ মিনিটে আবার অস্ট্রেলিয়ার আক্রমণ। তবে আলবিসেলেস্তের রক্ষণভাগের মার্টিনেজের স্লাইডিং এফোর্টে রক্ষা পায় আর্জেন্টিনা। এরপর দুটি গোলের সুযোগ মিস করে আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার লাউতারো মার্টিনেজ। দুটি সুযোগই তৈরি করেছেন পিএসজি তারকা মেসি।
ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে একদম শেষ মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ার ফরোয়ার্ড গারাং কৌল প্রায় ম্যাচে সমতার গোলটি করে ফেলেছিলেন। তবে এবার মার্টিনেজের অসাধারণ সেভে বিপদ ছাড়ায় কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখে মেসিবাহিনী। শেষ আটে মেসিদের লড়তে হবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। সেখানে জয় পেলেই সেমিফাইনাল।