গতকাল বাফুফে কার্যালয়ে নির্বাহী কমিটির সভার পর আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের আগে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ও সহ-সভাপতি কাজী নাবিল সামাদ সাংবাদিকদের বাপের জুতা পরা ছবি নিয়ে ফেডারেশনে আসতে হবে- এমন মন্তব্য করেন। যার জেরে সালাউদ্দিনকে বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসপিএ) অনারারি সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার (৩ মে) বিএসপিএ'র সাধারণ সম্পাদক মো. সুমন হোসেন সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সালাউদ্দিন-নাবিলের আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে সালাউদ্দিনকে বহিস্কার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন ও বাফুফে সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ ক্রীড়া সাংবাদিকদের নিয়ে সম্প্রতি যেসব আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ) এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছে। সাংবাদিকদের ওপর তাদের কতটা বিদ্বেষ, সেটা প্রকাশ পেয়েছে তাদের কথাবর্তায়। তারা শুধু সাংবাদিকদের নয়, তাদের পরিবার এমনকি সাংবাদিকদের মা-বাবাকে পর্যন্ত কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। এটা পুরো সাংবাদিক সমাজকে ভীষনভাবে আহত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, 'একজন লিজেন্ডারি খেলোয়াড় হিসাবে বাফুফে সভাপতি পদে বসার পর কাজী মো. সালাউদ্দিনকে ২০১২ সালে বিএসপিএ সম্মানসূচক অনারারি সদস্য পদ দিয়ে আপন করে নিয়েছিল। পরীক্ষিত ক্রীড়া সংগঠক, লিজেন্ড খেলোয়াড় এবং মিডিয়া সংশ্লিষ্ট ক্রীড়া সংগঠকদের অনারারি সদস্য পদ দেওয়ার রেওয়াজ আছে এই সংগঠনের।
এই ধারায় বিএসপিএ সাবেক বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) প্রধান ও বর্তমানে মাননীয় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালসহ অনেক ক্রীড়া ব্যক্তিত্বকে সম্মানিত করেছে অনারারি সদস্য পদ দিয়ে। একইভাবে কাজী মো. সালাউদ্দিনকে অনারারি সদস্যপদ দেওয়া হয়েছিল। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে তার আচরণ, বক্তব্য সবকিছুই এই ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া সাংবাদিক সংগঠনের মতাদর্শের পরিপন্থী। তার কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ক্রীড়া সাংবাদিকদের আত্মসম্মানে আঘাত হেনেছে। তাই বিএসপিএর কার্যনির্বাহী কমিটি আজ জরুরি সভা করে কাজী মো. সালাউদ্দিনকে অনারারি সদস্য পদ থেকে বহিস্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।'