নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে
শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে পেনাল্টি শুটআউটে জয় পেয়ে কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পা রেখেছে
আর্জেন্টিনা। এর মধ্য দিয়ে ১৮ বিশ্বকাপ খেলে ষষ্ঠবারের মতো সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে
আলবিসেলেস্তেরা। তবে এখন পর্যন্ত আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের কোনও ম্যাচ হারেনি।
অর্থাৎ দলটি যতবারই সেমিফাইনালে গেছে ততবারই ফাইনালে পৌঁছেছে। কিংবা বিশ্বকাপে কখনও
তৃতীয় বা চতুর্থ হতে হয়নি লাতিনের দলটিকে।
১৯৩০ সালের প্রথম বিশ্বকাপে
দলটি রানার্সআপ হয়। সেবার সেমিফাইনালে যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয়।
তবে উরুগুয়ের সঙ্গে হেরে সেবার শিরোপা বঞ্চিত হয়েছিল। এরপর পাঁচ বিশ্বকাপ খেলেও কোনোবার
কোয়ার্টার ফাইনালের বেশি দূর যেতে পারেনি আলবিসেলেস্তেরা।
১৯৭৮ বিশ্বকাপে শিরোপা
জেতে দলটি। সেবার সেমিফাইনাল না থাকলেও দ্বিতীয় রাউন্ডের চার ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে
জয় তুলে নেয়। আর ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে
হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা ঘরে তোলে।
৮২ এর বিশ্বকাপে দ্বিতীয়
রাউন্ডে বাদ পড়লেও ৮৬ তে ম্যারাডোনা ক্যারিশমায় জেতে শিরোপা। সেবার সেমিফাইনালে বেলজিয়াম
আর ফাইনালে ওয়েস্ট জার্মানিকে হারায় দ্বিতীয় শিরোপার গৌরব অর্জন করে।
পরের বিশ্বকাপে আবারও ফাইনালে
যায় লাতিনের দলটি। সেবার সেমিফাইনালে ইতালিকে হারালেও ওয়েস্ট জার্মানির কাছে হেরে শিরোপা
জয় করতে পারেনি।
এরপর পাঁচ বিশ্বকাপে গ্রুপ
কিংবা কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। তবে ২০১৪
সালের মেসি বীরত্বে আবারও ফাইনালে পৌঁছে দলটি। ব্রাজিলের সেই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে
নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে মেসিবাহিনী। তবে জার্মান বাধায় জেতা হয়নি শিরোপা।
রাশিয়া বিশ্বকাপের এবার
কাতারে আবারও সেমিতে মেসিরা। এবার প্রতিপক্ষ গতবারের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়া। এবারও কি
আর্জেন্টিনা তাদের রেকর্ড অক্ষুণ্ণ রাখবে? নাকি সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেবে প্রথমবারের
মতো–সেটির জন্য অপেক্ষা করতে হবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।