রবিবার কাতারের আকাশে বিশ্বকাপের
শেষ ছিল আসরের আতশবাজি। বিশ্বব্যাপী ছিল ভক্তদের উত্তেজনা। অবশেষে লুসাইল স্টেডিয়ামে
রাত ১১টা ৫৭ মিনিটে সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেলো। কাপ উঠলো মেসির হাতে। নাটকীয়তা, উত্তেজনা, পটভূমি বদল- কী ছিল না। দুই বার এগিয়ে গিয়েও জয় বঞ্চিত আর্জেন্টিনা। ঘুরে দাঁড়ায় ফ্রান্স। তৃতীয়বারের চেষ্টা পেনাল্টিতে আসলো চূড়ান্ত ফল। এতে বিশ্ব সাক্ষী হলো ইতিহাসের অন্যতম সেরা এক ম্যাচের। এমন এক ম্যাচ যেন বর্তমান সময়ের ফুটবলার মেসির বিশ্বের সম্রাটের সিংহাসনে আরোহন।
প্রায় এক মাসের এই মহাযুদ্ধের
শেষে কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার সভাপতি
জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেছেন, ‘এটাই ইতিহাসের সেরা বিশ্বকাপের আসর।’
এবার কাতারের বিশ্বকাপ
ম্যাচের দিক থেকেই কেবল ইতিহাসের সেরা নয়, আয়ের দিক থেকেও গড়েছে রেকর্ড। মধ্যপ্রাচ্যের
দেশ থেকে ফিফা সাড়ে ৭ বিলিয়ন ইউএস ডলার আয় করেছে বলে জানিয়েছেন ফিফার সভাপতি। অথচ কাতার
বিশ্বকাপের আগে এর চেয়েও কম আয়ের আশা করেছিল ফিফা।
টুর্নামেন্টের সিইও নাসের
আল খাতের গত আগস্টে জানিয়েছিলেন, আয়ের অংকটা বিশাল হবে বলেই আশাবাদী তিনি। তিনি
অনুমান করতে পেরেছেন, কত হতে পারে সেই বিশাল অংক।
নাসের আল খাতের বলেছিলেন,
ফিফার অনুমান অনুযায়ী আসন্ন কাতার বিশ্বকাপ থেকে সবমিলিয়ে রাজস্ব আদায় হবে প্রায় ৬
বিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৭ হাজার কোটি টাকার বেশি।
অথচ শেষ পর্যন্ত সাড়ে সাত
বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। যা ধারণার চেয়েও ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। কাতারের বিশ্বকাপে এত
আয়ের পর পরবর্তী চার বছরে আরও বেশি লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
২০২৬ সালের যুক্তরাষ্ট্র,
মেক্সিকো এবং কানাডা বিশ্বকাপ থেকে মোট ১১ বিলিয়ন ডলার আয় করার পরিকল্পনা ফিফার। এদিকে
এবারের কাতার বিশ্বকাপের চার বছরের চক্রে সাড়ে ৭ বিলিয়ন ডলার আয় নিয়ে ইনফান্তিনো বলেন,
‘ফিফা ঘোষণা করছে যে, কাতার বিশ্বকাপের চার বছরের
চক্রে সাড়ে ৭ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। যা আমাদের ধারণার চেয়েও ১ বিলিয়ন ডলার বেশি। ফিফার
লক্ষ্য এখনও সামনের চার বছরের চক্রে বিশ্বকাপ থেকে ১১ বিলিয়ন ডলার আয় করার লক্ষ্য।’