রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
সোমবার এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, 'চিত্রনায়ক ফারুকের মৃত্যু দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তার অভিনীত চলচ্চিত্র দেশের সমাজ ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে। চলচ্চিত্র অঙ্গনে তার অবদান দেশের মানুষ আজীবন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।'
কিংবদন্তি অভিনেতা ফারুকের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা এবং রুহের মাগফিরাত কামনা করেন রাষ্ট্রপতি।
শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বরেণ্য এ শিল্পী ও রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে অপূরনীয় ক্ষতি হলো।' এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুকের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় সিঙ্গাপুরের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে মারা যান বাংলা চলচ্চিত্রের 'মিয়া ভাই' খ্যাত নায়ক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ঢাকা-১৭ (গুলশান-বনানী) আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
মৃত্যুর বিষয়টি তার ছেলে শরৎ নিশ্চিত করে বলেন, 'সোমবার সকাল (বাংলাদেশ সময়) ৮টা ৩০ মিনিটের দিকে আব্বু মারা গেছেন। আমার আব্বুর জন্য দোয়া করবেন।'
২০২১ সালের ৪ মার্চ এই অভিনেতা তার নিয়মিত চেকআপের জন্য সিঙ্গাপুর যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। উচ্চ রক্তচাপ, মস্তিস্ক, স্নায়ুতন্ত্রের নানা সমস্যায় ভুগছিলেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। চার মাস ছিলেন ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ)। আরও চার মাস কেটেছে সেমি কোমায়। মাস ছয়েক আগে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাকে কেবিনে নেয়া হয়। এরপর থেকে সেখানেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক)।