১৯ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০২:৩২:১৩ অপরাহ্ন


তাসরিফ খান ও কুঁড়েঘর ব্যান্ড: বাংলাদেশের সঙ্গীত জগতের উঠতি তারকা
সোহেল জুলফিকার
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০২৩-০৫-২০ ১৯:৫১:৪৯
তাসরিফ খান ও কুঁড়েঘর ব্যান্ড: বাংলাদেশের সঙ্গীত জগতের উঠতি তারকা তাসরিফ খান ও কুঁড়েঘর ব্যান্ড



কুরেঘর ব্যান্ডের প্রধান ভোকালিস্ট তাসরিফ খান এবং তার ব্যান্ডমেটরা দ্রুতই বাংলাদেশের সঙ্গেতঙ্গনে জনপ্রিয় এবং আলোচিত হয়ে উঠছে। ২০১৬ সালে গঠনের পর থেকে, ব্যান্ডটি তাদের ঐতিহ্যবাহী বাংলা সঙ্গীত এবং পশ্চিমা রক প্রভাবের অনন্য মিশ্রণে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছে। কুরেঘর ব্যান্ডের ১ম ভাইরাল গান "আমার কাছে তুমি মনে"। 


ব্যান্ডের সাফল্যের অন্যতম কারণ হল খানের ব্যতিক্রমী ভোকাল রেঞ্জ। ধ্রুপদী বাংলা শৈলী এবং তীক্ষ্ণ রক কণ্ঠের মধ্যে নির্বিঘ্নে চলাফেরা করার ক্ষমতা তাকে ভক্ত এবং সমালোচকদের কাছ থেকে একইভাবে প্রশংসা অর্জন করেছে। তার মঞ্চ উপস্থিতি এবং দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ভক্তদের কাছে তাকে করে তুলেছে ভীষণ প্রিয়।


কুরেঘরের সঙ্গীত প্রায়শই সামাজিক ন্যায়বিচার, মানবাধিকার এবং পরিবেশবাদের বিষয়বস্তুকে অন্বেষণ করে। তাদের গানের কথা চিন্তা-উদ্দীপক এবং মর্মস্পর্শী, শ্রোতাদের তাদের বিশ্ব সম্পর্কে প্রতিফলিত করে এবং চারপাশেরকে একটি সুন্দর করে তোলার জন্য পদক্ষেপ নিতে অনুপ্রাণিত করে।


 সঙ্গীত ছাড়াও, কুরেঘর তাদের জনহিতকর কাজের মাধ্যমে প্রভাব ফেলেছে। ব্যান্ডটি দাতব্য কাজের জন্য তহবিল সংগ্রহের জন্য বেশ কয়েকটি অলাভজনক সংস্থার সাথে সহযোগিতা করেছে। যেমন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা প্রদান, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য শিক্ষা সহায়তা, বন্যা কবলিত একালের মানুষদের পাশে দাঁড়ানো এবং নানান ভাবে সাহায্য করা ছাড়াও আরো অনেক ভালো কাজ করে চলেছেন। সিলেটে বন্যার প্রথম দুই দিনে তিনি ১৫ লাখেরও বেশি টাকা সংগ্রহ করেছেন এবং মানুষকে ত্রাণসামগ্রী দিয়ে সাহায্য করছেন। তাসরিফ খানের গান ও সামাজিক কর্মকাণ্ড মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে।


খান এবং কুরেঘরের খ্যাতির উত্থান এতটা সহজ ছিল না। বাংলাদেশী সঙ্গীত শিল্প অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক, এবং ব্যান্ডটিকে একটি জনাকীর্ণ মাঠে দাঁড়াতে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। যাইহোক, তারা তাদের স্থান করে নিয়েছে এবং দেশে বিদেশে উভয়ই তাদের ফলোয়ার দিন দিন বেড়েই চলেছে।


তারা যখন সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে বিকশিত হতে থাকে এবং বেড়ে উঠতে থাকে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই যে তাসরিফ খান এবং কুরেঘর আগামী বছর গুলোতে গণনা করার মতো একটি শক্তি হবে। তাদের ব্যতিক্রম ঘরানার সাউন্ড এবং সামাজিক কারণের প্রতি দায়বদ্ধতা তাদের কেবল একটি সঙ্গীত ক্রিয়া নয়, একটি সাংস্কৃতিক আন্দোলন করে তোলে।