১৯ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০২:২৭:০১ অপরাহ্ন


আমি সৌভাগ্যবান ওপরওয়ালার কাছে। ওরা আমাকে দেখে হাসে, কাঁদে না: জায়েদ খান
সাজ্জাদ হাসান
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০২৩-১০-২১ ২০:৫৫:৩৬
আমি সৌভাগ্যবান ওপরওয়ালার কাছে। ওরা আমাকে দেখে হাসে, কাঁদে না: জায়েদ খান জায়েদ খান


সারা বছরজুড়ে নানা ধরণের আলোচিত কার্যক্রমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনায় থাকেন ঢাকাই সিনেমার নায়ক জায়েদ খান। ফেসবুকে বেশ চর্চা হয় তার কার্যক্রম নিয়ে। তাঁর ছবি, ভিডিও ফুটেজ নিয়ে প্রায় ট্রল করতে দেখা যায়।

এসব ট্রল কষ্ট দেয় কি না জানতে চাইলে--এসব তেমন পাত্তা দেন না বলে জানান জায়েদ খান। বরং ট্রলের বিষয়টি তাঁকে প্রচুর আনন্দ দেয় বলে জানান তিনি । ট্রলকারীদেরকে গরু জবাই করে খাওয়ানোর ইচ্ছা আছে বলে জানান এই অভিনেতা।

জায়েদ খান বলেন, ‘আমার খুব ইচ্ছা, একদিন তাদের একটা গরু জবাই করে রান্না করে খাওয়াই। তাঁরা আমাকে এত এত ট্রল করে মানুষের কাছাকাছি পৌঁছে দিচ্ছেন। যাঁরা আমাকে চিনতেন না, তাঁদের চিনিয়ে দিচ্ছেন। কয়েক দিন আগের ঘটনা। আমি রামপুরা যাচ্ছিলাম, পথে আখের রস খাব। গাড়ির গ্লাস খুলেছি, এক মুরগিওয়ালা আমাকে চিৎকার দিয়ে বলে উঠলেন “আরে জায়েদ ভাই না। আসতেছি আসতেছি।” আমি তাঁকে বললাম, “আমাকে চিনলেন কীভাবে, সিনেমা দেখেছেন?” তিনি বললেন,  “না না, মোবাইল খুললেই তো আপনাকে দেখা যায়।” আমার অবস্থাটা এখন বোঝেন তাহলে।’

এটাকে তাহলে কি আশীর্বাদ বলছেন—এমন প্রশ্নে জায়েদ খান বলেন, ‘আশীর্বাদ কি অভিশাপ—জানি না, তবে এতে সারা দেশে আমার পরিচিতি বেড়েছে। এসব  মানুষ আমাকে নিয়ে ভাবেন, আমাকে নিয়ে চিন্তা করেন।’

শুধু ট্রলই নয়, ফেসবুকে জায়েদ খানের ছবির নিচে, ভিডিও ফুটেজের নিচে হাসির রিঅ্যাক্টের বন্যা বয়ে যায়। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমি সৌভাগ্যবান ওপরওয়ালার কাছে। ওরা আমাকে দেখে হাসে, কাঁদে না। দিলদার ভাই মারা গেছে তো কী হয়েছে? হাসির ব্যাপারটা ওদের মধ্যে দিয়ে গেছেন, এ জন্য ওরা আমায় দেখে হাসে।’

নিজেকে কৌতুক অভিনেতা দিলদারের সঙ্গে তুলনা করছেন এমন প্রশ্ন—উত্তরে জায়েদ খান বলেন, ‘আমি দিলদারের সঙ্গে তুলনা করলে কি আর সালমান শাহর সঙ্গে তুলনা করলে কি, ওরা যা করার করবে। ওরা আমার সিরিয়াস কোনো কাজেও “হা হা” রিঅ্যাক্ট দেয়। এরা কিছু না বুঝেই এমনভাবে রিঅ্যাক্ট দেয়, ওদের কাজই এটি। ওই কোথায় অজপাড়া গ্রাম। একটা চায়নিজ মোবাইল কিনেছে। আমার ছবিতে এসে একটা উপদেশ দিয়ে দিচ্ছে। “হা হা” রিঅ্যাক্ট দিয়ে দিচ্ছে। আমাকে একজন লিখেছে, আপনার ছবিতে প্রথম ‘হা হা’ রিঅ্যাক্ট দিয়েছি। আমি লিখেছি, আপনাকেও প্রথম ব্লক মারলাম। যত “হা হা” রিঅ্যাক্ট আসে, ততবারই আমি ব্লক মারি। তো এসব “হা হা” রিঅ্যাক্ট দিয়ে লাভ কী।’

জায়েদ খান বলেন ‘এসব মানুষ তো আমার কাছে বসতেও পারে না। ওদের ট্রল, “হা হা” রিঅ্যাক্টে আমি জায়েদ খান এগিয়ে চলেছি। ওরা যখন গ্রামে বসে ট্রল করে “হা হা” রিঅ্যাক্ট দেয়, তখন আমি আমেরিকায় টাইম স্কয়ারে বসে সময় কাটাই।’

যাঁরা হাসির রিঅ্যাক্ট দেন, তাঁদের উপদেশ দিয়ে জায়েদ খান আরও বলেন, ‘তোমরা ক্লোজআপ কিংবা ছাই দিয়ে দাঁত মাজো কি না জানি না। তবে এত হাসি হেসো না, কিছু জমিয়ে রাখো। তা না হলে প্রিয়জন কিংবা আপনজন মৃত্যুবরণ করলেও হাসি বেরিয়ে আসবে। এই অভ্যাস রয়ে যাবে। এসব থেকে বেরিয়ে আসো।’

এই ঢাকাই সিনেমার নায়ক টিক্কা খানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ ছবিতে। একটি মাত্র দৃশ্যে আছে। তা–ও স্বল্প সময়ের। দৃশ্যটির সময় দর্শকেরা হেসে ওঠেন। বিষয়টিকে কীভাবে দেখেন? এ ব্যাপারে জায়েদ খান বলেন, ‘শুধুই হাসে না, চিৎকার দিয়ে হাসে। সঙ্গে হাততালিও দেন সবাই। এটাই আমার সার্থকতা, এটাই আমার প্রাপ্তি।’

জায়েদ খান আরও বলেন, ‘ছবিতে যে একটি দৃশ্য আছে, হোক তা অল্প সময়ের। দৃশ্য যে আছে এতেই আমি খুশি। এটা আমার অভিনয়জীবনের অনেক বড় পাওয়া।’