বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে ব্রাজিলের মুখোমুখি হয়েছিলেন বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টিনা। চরম উত্তেজনাকর ম্যাচটি শুরু হওয়ায় আগমুহূর্তে গ্যালারিতে ঘটে যায় কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। সংঘাতে জড়িয়ে পরে দুই দলের সমথর্করা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছুটে আসে পুলিশ। একসময় এই দুইপক্ষের হাতিহাতি রূপ নেয় ত্রিমুুখী সংঘর্ষে।
ব্রাজিলের মারাকানা স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে পরিস্থিতি শান্ত করতে দলবল নিয়ে ছুটে গিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, নিজ দেশের সমর্থকদের বাঁচাতে ব্রাজিল সমর্থকদের দিকে তেড়ে যাচ্ছেন আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টনেজও। পরে অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনার প্রতিবাদ করে মাঠ ত্যাগ করে আর্জেন্টিনা দল।
এ ঘটনার কারণে নির্দিষ্ট সময়েরও আধঘণ্টা পর মাঠে নামে দুই দল। মাঠেও কয়েক দফা সংঘর্ষে জড়ায় দুইদলের খেলোয়াড়রা। যে কারণে লালকার্ডও দেখতে হয়েছে ব্রাজিলের ফরোয়ার্ড জোয়েলিন্টনকে।
সংঘর্ষ ও ফাউলের ম্যাচের শেষে ১-০ গোলে জয় পায় আর্জেন্টিনা। দলের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন নিকোলাস ওতামেন্দি।
ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমের সামনে গ্যালারির সংঘর্ষ নিয়ে কথা বলতে আসেন দলপ্রধান মেসি। বিশ্বকাপজয়ী এ তারকা বলেছেন, ‘নিশ্চিতভাবেই খুব খারাপ কাজ হলো। দর্শকদের কীভাবে (পুুলিশ) পিটিয়েছে, সেটা আমরা দেখেছি। লিবার্তোদোরেসের ফাইনালেও (দক্ষিণ আমেরিকার প্রধান মহাদেশীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট) এমন হয়েছিল, এখন আবারও পেটানো হলো। সেখানে (গ্যালারি) খেলোয়াড়দের পরিবারও ছিল। আর সবার আগে পরিবার। তখন খেলার চেয়ে ওই চিন্তাটাই আগে আসে, বাকি সব গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে।’
আর্জেন্টিনার জনপ্রিয় স্পোর্টস অনলাইন টিওয়াইসি স্পোর্টসে বলা হয়েছে, ম্যাচ শুরুর আগে যখন আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা নিজ দেশের জাতীয় সঙ্গীত গাইছিলো, তখনই গ্যালারিতে ব্রাজিল পুলিশ কর্তৃক আক্রান্ত হন আর্জেন্টিনার সমর্থকরা। তখন আর্জেন্টিনা সমর্থকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে চেয়ার ছুঁড়ে মারে। এতে সংঘর্ষ আরও ভয়াবহ রূপ নেয়।
তবে ম্যাচ কর্মকর্তা, ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন কর্মকর্তা ও নিরাপত্তাকর্মীদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। ফলে সংশয় কেটে যায়। নির্ধারিত সময়ের ৩০ মিনিট পর হলেও মাঠে গড়ায় খেলা।