আইসিসি দুর্নীতি-বিরোধী নিয়ম ভাঙায় সব ধরনের ক্রিকেট থেকে বাংলাদেশি অলরাউন্ডার নাসির হোসেনকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর আগে তথ্য গোপন করায় এমন দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান।
২০১৯ সালে সাকিবের শাস্তি পাওয়ার এক বছর পরই খেলায় ফিরেছিলেন সাকিব কারণ মধ্যে এক বছর স্থগিত শাস্তি ছিল। তবে নাসিরের ক্ষেত্রে স্থগিত শাস্তির মেয়াদ ৬ মাস। অর্থাৎ এক অর্থে দেড় বছর নিষিদ্ধ থাকবেন ঘরোয়া ক্রিকেটের নির্ভরযোগ্য এই ক্রিকেটার।
গেলো বছর সেপ্টেম্বরে নাসিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়। ইতিমধ্যে এই অলরাউন্ডার তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা তিনটি অভিযোগেরই দায় স্বীকার করে নিয়েছেন।
সে তিনটি অভিযোগ হলো:
- দুর্নীতি বিরোধী আইনের ২.৪.৩ ধারা ভেঙেছে, যে ধারা অনুযায়ী ৭৫০ ডলারের বেশি মূল্যের তথা আইফোন ১২ উপহার পাওয়ার কথা দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তাকে জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
- ২.৪.৪ ধারা অনুযায়ী আইফোন ১২ উপহার পাওয়ার যে প্রস্তাব পেয়েছেন তার বিস্তারিত দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তাকে জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
- ২.৪.৬ ধারা অনুযায়ী দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তার তদন্তে সাহায্য করতে ব্যর্থ হয়েছেন বা অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
নাসিরকে বাংলাদেশ জাতীয় দলে সর্বশেষ দেখা গেছে ২০১৮ সালে। ১১৫ ম্যাচ খেলে ২৬৯৫ রান ও ৩৯ উইকেট পেয়েছেন তিনি। গত বিপিএলেও ঢাকা ডমিনেটরসের অধিনায়কত্ব করেছেন তিনি।
দেড় বছরের নিষেধাজ্ঞা এর মধ্যেই শুরু হয়ে গেছে নাসিরের। স্থগিত নিষেধাজ্ঞার সব শর্ত মানলে ২০২৫ সালের ৭ এপ্রিল আবার ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন নাসির।