ঢাকায় সিনেমার বহুল আলোচিত নায়ক জায়েদ খান। সম্প্রতি ইমামদের প্রসঙ্গে বলা কথার একটি ভিডিও প্রকাশ হলে সমালোচনার মুখে পড়েন এই অভিনেতা। পরিস্থিতি এমন হয়ে ছিল যে জায়েদ খানকে ক্ষমা চাইতে হয়েছে। তবে, জায়েদ খানের দাবি ভাইরাল ওই ভিডিওতে তার বক্তব্য এডিট করা হয়েছে।
তিনি বলেন, 'বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে এ বিষয়ে সারাদেশের ইমাম মোয়াজ্জিনদের চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের সঙ্গে কথা হয়েছে আমার। তারা আমার সঙ্গে কথা বলে বুঝেছেন যে আমি আসলে কী বলেছি। তারা এ সময় আমাকে একটি ক্যালেন্ডারও উপহার দিয়েছেন।'
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি ফটো পোস্ট করে বিষয়টি জায়েদ খান নিজেই নিশ্চিত করেছেন। পোস্টে দেখা যায়, শানে সাহাবা খতিব কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি শামীম মজুমদার ও মহাসচিব মুফতি শরীফ উল্লাহ তারেকী।
এর আগে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে জায়েদ খান বলেন, ‘তিনি সব ইমামকে নিয়ে এসব মন্তব্য করেননি। উনারা যে ভুল বুঝেছেন সে জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমি একজন মুসলমান। আমার বাবা হাজি ছিলেন। আপনারা জানেন আমি মদ, বিড়ি খাই না। আমি নামাজ পড়ি। আমি কোরআন শরিফ পড়ি। আমি ইসলামকে ভালোবাসি।’
জায়েদ খান বলেন, 'কেউ উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে আমাকে বিতর্কিত করার জন্য একটি ভিডিওর অংশবিশেষ কেটে ছড়িয়ে দিয়েছে।'
তিনি আরো বলেন, 'আমি মূলত একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সমাজের প্রত্যেক শ্রেণিতে যে কিছু কিছু খারাপ মানুষ রয়েছে সেই কথা বলেছি। এ ক্ষেত্রে কিছু কিছু ইমাম যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে পত্রিকায়, যারা বলাৎকারের মতো কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে বলেছি।'
ভাইরাল ভিডিওতে জায়েদ খান অনেক গুলো প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সমাজের প্রত্যেক শ্রেণির মানুষের ভালো-খারাপের ব্যাখ্য দিচ্ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমাকে নিয়ে যেসব গুজব ছড়ায় ওসবে আমি পাত্তা দেই না কারণ আমি একজন পাবলিক ফিগার, আমাকে নিয়ে কথা হতেই পারে। নায়ক বলেই তো গুজব ছড়ায়। সবারই ভালোমন্দ আছে। ইমামরা তো ভালো সবাই তাদের পেছনে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ে। আবার কিছু কিছু ইমাম দেখবেন শিশু বলাৎকারের মতো কাজও করে এটা গর্হিত কাজ। কিছু কিছু মানুষ সব সমাজেই আছে।’