ক্রাইস্টচার্চে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে নতজানু বাংলাদেশ। শুক্রবার (৭ অক্টোবর) এলো আরও একটি পরাজয়।
বল হাতে তাসকিন, নাসুম, মিরাজরা লড়লেও বাকিরা বড্ড ম্লান। মুস্তাফিজ, হাসানরা থাকলেন অনুজ্জ্বল, খরচা করলেন অনেক রান। মোহাম্মদ রিজওয়ানের দারুণ ইনিংসে পাকিস্তান পায় লড়াকু সংগ্রহ। সেই রান পাড়ি দিতে নেমে চরম হতাশার ব্যাটিং করলো বাংলাদেশ। লিটন, আফিফ, ইয়াসিরদের লড়াই হারের ব্যবধান কমালো মাত্র।
শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলে ওভালে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২১ রানে হেরে গেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৭ টি-টোয়েন্টিতে এটা বাংলাদেশের ১৪তম হার। দলটির বিপক্ষে ২টি ম্যাচে জিতেছে বাংলাদেশ, সর্বশেষ জয় ২০১৬ সালে। এরপর এই ম্যাচসহ টানা সাত ম্যাচে হারলো তারা।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে পাকিস্তান। মোহাম্মদ রিজওয়ানের দারুণ ইনিংসে ৫ উইকেটে ১৬৭ রান তোলে বাবর আজমের দল। জবাবে পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে ইনিংসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধুঁকেছে বাংলাদেশ। হতাশার ব্যাটিংয়ে ৮ উইকেটে ১৪৬ রানে শেষ হয় নুরুল হাসান সোহানের দলের ইনিংস।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এমন পারফরম্যান্স নিশ্চয়ই চিন্তা বাড়াবে বাংলাদেশের। পেস আক্রমণের অন্যতম সেরা অস্ত্র মুস্তাফিজ ৫০ ছুঁইছুঁই রান খরচ করেও উইকেটের দেখা পাননি। হাসানও ছিলেন বেশ খরুচে। ব্যাটিংয়ে উদ্বোধনী জুটি চিন্তার কারণ হয়েই থেকে যাচ্ছে। চার ম্যাচে ইনিংস উদ্বোধন করা মিরাজ দুই ম্যাচে আস্থার দাম দিতে পারলেও সাব্বির রহমান সংগ্রামই করে যাচ্ছেন। পরের ব্যাটসম্যানরাও আশা জাগানিয়া কিছু করতে পারছেন না।
পাকিস্তানের বিপক্ষে এই ম্যাচ থেকে বাংলাদেশের পাওয়া ইয়াসির আলী রাব্বির ব্যাটিং। সাত নম্বরে নেমে ঝড়ো এক ইনিংস খেলেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। মাত্র ২১ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। অবশ্য নিশ্চিত হারের মুখে চাপহীন ব্যাটিংয়ে এমন ইনিংস নিয়ে স্বস্তি পাওয়ারও সুযোগ নেই বাংলাদেশের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৬৭/৫ (মোহাম্মদ রিজওয়ান ৭৮*, শান মাসুদ ৩১, বাবর আজম ২২, ইফতিখার আহমেদ ১৩; তাসকিন আহমেদ ২/২৫, মেহেদী হাসান মিরাজ ১/১২, নাসুম আহমেদ ১/২২, হাসান মাহমুদ ১/৪২)।
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৪৬/৮ (ইয়াসির আলী ৪২*, লিটন দাস ৩৫, আফিফ হোসেন ২৫, সাব্বির রহমান ১৪, মেহেদী হাসান মিরাজ ১০; মোহাম্মদ ওয়াসিম ৩/২৪, মোহাম্মদ নওয়াজ ২/২৫)।
ফল: পাকিস্তান ২১ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: মোহাম্মদ রিজওয়ান।