০৬ নভেম্বর ২০২৪, বুধবার, ০৯:২৮:০৫ পূর্বাহ্ন


বিশ্বকাপজয়ী স্পেনের লজ্জা আর মরক্কোর রূপকথা
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০২২-১২-১১ ০১:১৩:০৪
বিশ্বকাপজয়ী স্পেনের লজ্জা আর মরক্কোর রূপকথা


কাতারের আল-রায়ান স্টেডিয়ামে স্পেন-মরোক্কোর ম্যাচটি শুরুর আগে কেউ কল্পনাও করেনি রাউন্ড সিক্সটিন থেকে বিদায় নিতে হবে ২০১০ এর বিশ্বকাপজয়ীদের। কিন্তু যে কথা কল্পনা করা যায়নি সেটি বাস্তবে রূপ দিলো ইয়াসিন বুনো, হাকিম জিয়েখ ও আশরাফ হাকিমিরা। মাটিতে নামিয়ে আনলো লুইস এনরিকের দলকে। পুরো ম্যাচ সামাল দিয়ে পেনাল্টিতে ৩-০ গোলে জিতে নেয় আটলান্টিক সাগর পাড়ের দেশটি। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়ে রূপকথা লিখলো মরক্কো। 

তবে শেষ ষোলোর ম্যাচটি পুরোটাই ছিল স্পেনের দখলে। পুরো ম্যাচে বল পায়ে রেখেছে বুসকেটস-পেদ্রিরা। মরক্কো শুধু নিজেদের গুছিয়ে রেখেছিল। সামাল দিয়েছে আক্রমণ। পাল্টা আক্রমণে গেছে তবে সেটি খুব বেশিবার নয়।

ম্যাচের ২৭ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো স্পেন ২৭ মিনিটেই জর্ডি আলবার বাড়ানো বলটি পেয়ে মার্কো অ্যাসেন্সিও জোরালো শট নিলেও সেটি পাশ দিয়ে চলে যায়। ৩৩ মিনিটে মরক্কোর মাজরাওয়ির নেওয়া জোরালো শটটি অসাধারণ দক্ষতায় ধরে স্পেনের গোলরক্ষক উনাই সিমন। ৪৩ মিনিটে হাকিমির ক্রসটিকে বোফাল ফ্লিক করলে বারের পাশ ঘেঁষে চলে যায়। বল জালের দেখা পাওয়া ছাড়াই বিরতিতে যায় উভয় দল।

দ্বিতীয়ার্ধে স্পেন কয়েকবার থ্রেট তৈরি করলেও একবার মরক্কোর পোস্টে কাঁপুনি ধরাতে পারেনি। গোল ছাড়াই শেষ হয় নির্ধারিত ৯০ মিনিট। শুরু হয় অতিরিক্ত সময়ের খেলা। সেখানেও বলার মতো কিছু হয়নি। তবে খেলা শেষের একদম শেষ মুহূর্তে পাবলো সারাভিয়ার নেওয়া শটটি মরক্কোর গোলপোস্টে লেগে বেরিয়ে যায়। গোল ছাড়াই শেষ হয় ম্যাচ।

এরপরই পেনাল্টি শুট। আর এখানেই মরক্কোর বাজিমাত। ৩-০ তে জিতে নেয় ম্যাচটি। যেন পুরো ম্যাচের সব শক্তি এখানেই ঢেলে দিয়েছে মরক্কোর ফুটবলাররা। স্পেনের তিন জন ফুটবলার স্পট থেকে কিক নিলেও একজনও জালে বল ঢুকাতে পারেনি। দুটি অসাধারণ সেভ দিয়েছে মরক্কোর গোলকিপার ইয়াসিন বুনো।

শুরুতেই শট নিতে আসে মরক্কোর সাবিরি। তিনি অসাধারণ কিকে দলকে এগিয়ে নেন। এরপর স্পেনের সারাবিয়ার কিকটি বারে লেগে ফিরে আসে। হাকিম জিয়েখের গোলে লিড ডাবল করে আফ্রিকানরা। স্পেনের হয়ে পেনাল্টি নিতে আসা কার্লোস সোলেরের শট ঠেকিয়ে দেয় বুনো। এরপর মরক্কো বানোনির শট ঠেকিয়ে দেয় উনাই সিমন। এরপর বুসকেটসের নেওয়া শটে বুনোর আবারও দুর্দান্ত সেভ। আশরাফ হাকিমির গোলে মরক্কোর উল্লাস।

এখন পর্যন্ত পাঁচ বার বিশ্বকাপের খেলার সুযোগ পেয়েছে মরক্কো। এর মধ্যে ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে দ্বিতীয় রাউন্ডে গিয়েছিল দলটি। আর কোনও বার গ্রুপের গণ্ডি পেরোতে পারেনি দলটি। আর এবার কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে রূপকথা লিখেছে মরক্কো।

এদিকে ২০১০ এ বিশ্বকাপ জেতা স্পেন এরপর তিনটি ওয়ার্ল্ড কাপে খেললেও কোনোবার দ্বিতীয় রাউন্ডের গণ্ডি পেরোতে পারেনি। আর এবারতো মরক্কোর সঙ্গে হেরে বড় লজ্জায় পেতে হলো দলটিকে।