কাতার বিশ্বকাপে একের পর
এক ব্যক্তিগত অর্জন জমছে আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসির ঝুলিতে। কাতার বিশ্বকাপে প্রথম
ম্যাচটি খেলতে নেমেই একটি রেকর্ডের মালিক হয়েছেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন মহাতারকা
ছুঁয়েছেন সবচেয়ে বেশি বিশ্বকাপ খেলার রেকর্ড। পরে পেশাদার প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১০০০
ম্যাচ খেলার মাইলফলক ছুঁয়েছেন। প্রয়াত কিংবদন্তী ডিয়েগো ম্যারাডোনার বিশ্বকাপে ৮ গোল
অতিক্রম করেছেন। শেষ ম্যাচে তো আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোল করা গ্যাব্রিয়েল
বাতিস্তুতার ১০ গোলকেও স্পর্শ করেছেন।
মঙ্গলবার রাতে ক্রোয়েশিয়ার
বিপক্ষে মাঠে নামলেই বিশ্বকাপ ফুটবলে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ডে জার্মানির বিশ্বকাপজয়ী
অধিনায়ক লোথার ম্যাথাউসের পাশে বসবেন আর্জেন্টিনার বর্তমান অধিনায়ক। ১৯৮২ থেকে ১৯৯৮
পর্যন্ত পাঁচ বিশ্বকাপে ২৫টি ম্যাচ খেলেছেন ম্যাথাউস। আজ হারলেও সমস্যা নাই। তৃতীয়
স্থান নির্ধারণী ম্যাচ তো আছেই। ফলে ম্যাথাউসের রেকর্ড নিজের করে নিতে পারবেন মেসি।
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে মেসি
যদি গোল পেয়ে যান তা শুধু আর্জেন্টিনার জন্য মূল্যবান হবে তা নয়, মেসিরও হবে অনন্য অর্জন। হয়ে যাবে আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোলের মালিক হবেন।
বাতিস্তুতা এমনিতে তিন
বিশ্বকাপ (১৯৯৪, ১৯৯৮ ও ২০০২) খেলে ১২ ম্যাচে ১০ গোল করেছিলেন। তার এই রেকর্ড নেদারল্যান্ডসের
বিপক্ষেই মেসি স্পর্শ করেছেন।
বাতিস্তুতার বিশ্বকাপ রেকর্ড
ছোঁয়ার আগে মেসি ছাড়িয়ে যান আর্জেন্টিনা আইকন ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে, যিনি আন্তর্জাতিক
শীর্ষ প্রতিযোগিতায় ২১ ম্যাচ খেলে ৮ গোল ও ৮ অ্যাসিস্ট করেছেন। বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ
অ্যাসিস্ট করা আর্জেন্টাইন ফুটবলার ম্যারাডোনা। কিন্তু মঙ্গলবার অন্তত এক গোল সতীর্থকে
দিয়ে করালে বিশ্বজয়ী অধিনায়ককে ছোঁবেন মেসি।
বিশ্বকাপে অ্যাসিস্টের
দুটি রেকর্ড ভেঙেছেন মেসি। মেক্সিকোর বিপক্ষে এনজো ফার্নান্দেজকে গোল বানিয়ে দেন তিনি,
তাতে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ ইতিহাসে পাঁচটি আসরে অন্তত একটি অ্যাসিস্টের রেকর্ড
গড়েন মেসি। এছাড়া নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মলিনাকে দিয়ে গোল করিয়ে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে
নকআউট রাউন্ডে পাঁচটি অ্যাসিস্টের মালিক হন মেসি, ছাড়িয়ে যান ব্রাজিল আইকন পেলেকে
(৫)।
মেসি তিনটি বিশ্বকাপ ম্যাচে
একই সঙ্গে গোল করেছেন ও করিয়েছেন। কাতারে নেদারল্যান্ডস ও মেক্সিকোর বিপক্ষে এই কীর্তি
গড়েন তিনি। এর আগে ২০০৬ সালে সার্বিয়া-মন্টেনিগ্রোর বিপক্ষে ৬-০ গোলের জয়ে জাল কাঁপান
এবং অ্যাসিস্ট করেন মেসি। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে গোল ও অ্যাসিস্ট করলে এই ফরোয়ার্ড প্রথম
খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ ইতিহাসে চারটি ভিন্ন ম্যাচে এই কীর্তি গড়বেন।