০১ অক্টোবর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১০:৫৯:৩১ পূর্বাহ্ন


মহীনের ঘোড়াগুলি প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তাপস বাপী দাস আর নেই
সোহেল জুলফিকার
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০২৩-০৬-২৫ ২০:১১:১৭
মহীনের ঘোড়াগুলি প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তাপস বাপী দাস আর নেই তাপস বাপী দাস


পথপ্রদর্শক ভারতীয় বাংলা রক ব্যান্ড মহীনের ঘোড়াগুলির সর্বশেষ সদস্য এবং প্রখ্যাত গীতিকার, গিটারিস্ট এবং সঙ্গীত শিল্পী তাপস বাপি দাস ফুসফুসের ক্যান্সারের সাথে দীর্ঘ দিন লড়াই করে রবিবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

নানান সূত্রে জানাজায় তিনি পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার এসএসকেএম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে বহুদিন যাবত চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন।

মহিনের ঘোরাগুলি ব্যান্ডের মাধ্যমে তাপস ১৯৭৪ সাল থেকে বাউল, জ্যাজ, ফোক (লোকসংগীত) এবং রক সঙ্গীতের একটি অনন্য সমন্বয়ের মাধ্যমে বাংলা সঙ্গীতে বিপ্লব ঘটিয়েছে যা সুরেলা, প্রাণবন্ত শব্দ এবং অর্থপূর্ণ গানের সাথে পরিপূরক ছিল। তাপস ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে সম্মানিত শিল্পীদের একজন।

বেশ কিছুদিন যাবৎ ফুসফুসের ক্যান্সারের সাথে লড়াই করছিলেন এবং কেমোথেরাপি গ্রহণের তৃতীয় পর্যায়ে ছিলেন এই গুণী শিল্পী। জানুয়ারিতে তার অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উভয় দেশের শিল্পীরা তার চিকিৎসার জন্য তহবিল সংগ্রহ করছিলেন এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকার তার চিকিৎসার যাবতীয় প্রয়োজন গুলো খেয়াল রেখে ছিলেন।

তার চিকিৎসার জন্য ৪০জন নেতৃস্থানীয় বাংলাদেশী শিল্পীর একটি তহবিল সংগ্রহের কনসার্ট ১৪ জুলাই ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

২২শে সেপ্টেম্বর, ১৯৫৪-এ কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন তাপস, ১৯৭৪ সালে মহীনের ঘোড়াগুলির মূল লাইনআপের সাথে একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হয়েছিলেন তিনি — গৌতম চট্টোপাধ্যায়, রঞ্জন ঘোষাল, প্রদীপ চ্যাটার্জি , বিশ্বনাথ বিশু চট্টোপাধ্যায়, তপেশ বন্দোপাধ্যায় এবং আব্রাহাম মজুমদার। এই মূল লাইন আপের্ ১৯৭৮ পর্যন্ত একসাথে পথ চলা হয়।

ব্যান্ডটি ভেঙে যাওয়ার পর, তাপস ২০১৫ সালে পরবর্তী প্রজন্মের বাংলা ব্যান্ড 'মহিন এখন ও বন্ধুরা'এর পিছনে মাস্টারমাইন্ড এবং পরামর্শদাতা হন। হ্যায়; ভালোবাসি; ভেসে আসে কলকাতা; সুধীজন শোনো; এই সুরে বহুদূরে সহ মহীনের ঘোড়াগুলির অনেক জনপ্রিয় গানের সহ-গীতিকার, সুরকার এবং গায়ক হিসাবে তাপসকে কৃতিত্ব দেওয়া হয়।

কিংবদন্তি এই শিল্পীর জন্য বাংলাদেশে নির্ধারিত তহবিল সংগ্রহের কনসার্টের আয়োজক ইভেন্টহলিক তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছেন: 'যদিও তিনি ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধে হেরে গেছেন, তবু অন্তত এই উদ্যোগ সম্পর্কে তিনি জানতে পেরেছিলেন এবং তিনি তার আনন্দ প্রকাশ করেছিলেন যখন আমরা প্রথম তার সাথে এই কনসার্টে নিয়ে আলোচনা করি। এমনকি গতকাল রাতেও তিনি আমাদের কিছু টি-শার্টে স্বাক্ষর করে দিয়েছেন।
পোস্টটিতে আরো বলে হয়, 'একটি ট্রিবিউট কনসার্ট অবশ্যই হবে, কারণ আমরা তার স্ত্রী সুতপা দাসের পাশে দাঁড়াতে চাই এবং দুই দুইদিনের মধ্যে বিস্তারিত জানানো হবে। দ্যা শো মাস্ট গো অন'।