দিনভর আলোচনায় কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশা। প্রথমে গভীর রাতে হাসপাতালে ভর্তির খবর, এরপর ছড়িয়ে পরে 'আত্মহত্যা করার চেষ্টা'র গুঞ্জন। অভিনেত্রীর পরিবার বা সহকর্মীরা কেউ মুখ না খোলায় রহস্যের আরো গভীর থেকে গভীরতর হয়ে উঠে।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম এই বিষয় জানান, ‘বুকে ব্যথা নিয়ে বুধবার মধ্যরাতে রাজধানীর পান্থপথের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তানজিন তিশা। এখন শঙ্কা মুক্ত।’
এরপর বিকেলে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন তানজিন তিশা। বাসায় ফিরে সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুরো দিনের আলোচনা-সমালোচনার ছোট্ট করে জবাব দেন তিনি।
তিশা তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, 'আজ কিছু ভুল নিউজ দেখতে পেলাম। বিষয়টি আমি সবাইকে পরিষ্কার করতে চাই। আসল বিষয়টি হলো, গতকাল রাতে আমার ফুড পয়জনিং হয়। এরপর কিছু ব্যাপারে আমার অবস্থা খারাপ ছিল। তাই আমি একটা ঘুমের ট্যাবলেট খাই। এরপর আমার বমি হয় এবং হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিই। আমি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ।
তিশা বলেন, 'আরেকটা বিষয় বলতে চাই, আমার বাবা দুই বছর আগে মারা যান। সে ঘটনা আমাকে এতটাই শক্ত করে যে এ ধরনের পদক্ষেপ (আত্মহত্যা) আমি এরকম কোনো মানুষ অথবা যেকোনো মানুষের জন্যই জীবনে নেব না।'
শেষ ভাগে তিশা লিখেন, 'যারা ক্ষতি করার চেষ্টা করেছেন তাদের সতর্ক করে তিশা লিখেছেন, সবাইকে একটা বিষয় বলতে চাই, যেটা আগেও বলেছি, আর্টিস্টদের একটা ব্যক্তিগত জীবন আছে। সেই ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আপনারা যদি কথা বলেন তাতে আমার বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আমারও হয়তো কখনো কিছু বলার থাকতে পারে। যদি থাকে এবং যারা আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করছেন, সেটা হোক মিডিয়ার কিছু মানুষ, তাদের প্রত্যেকের নাম উল্লেখ করে- স্পেশালি আমার নারী ও পুরুষ সহকর্মী, আমার ডিরেক্টর, আমার পার্সোনাল লাইফের মানুষ- যারা যারা আমার ক্ষতি করেছেন অথবা করার চেষ্টা করছেন তাদের প্রত্যেকের নাম উল্লেখ করে অতি শীঘ্রই আমার শুভাকাঙ্খীদের জন্য সাংবাদিক ভাই-বোনদের সাথে বসে প্রেস কনফারেন্স করব। ধন্যবাদ।'
স্ট্যাটাসের শেষে অভিনেতা মুশফিক ফারহানের নাম ম্যানশন করেন তিশা।
এর আগে চাউর হয়, বুধবার (১৫ নভেম্বর) রাতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন তিশা। ছোট পর্দার অভিনেতা মুশফিক আর ফারহানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। কিছু বিষয় নিয়ে মতের অমিল হয়। এতেই শুরু হয় ঝামেলা। তিশা মুশফিকের উত্তরার বাসায় যান। সেখানে থেকে ফিরেই ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
