বুধবার দিনগত রাতে মীমকে মেনশন করে পরীমণি সরাসরি লিখলেন, ‘নিজের জামাইকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা উচিত ছিল’!

কারণ মণি বিশ্বাস করেন, পরীপতি শরিফুল রাজ ও ব্যংকারপত্নী বিদ্যা সিনহা মিম চুটিয়ে প্রেম করছেন। আর তাতে সহযোগিতা করছেন ‘পরাণ’-‘দামাল’ নির্মাতা রায়হান রাফী। তাই তো বুধবার (৯ নভেম্বর) দিনগত রাত সোয়া দুইটার  দিকে পরীর বিস্ফোরক ফেসবুক পোস্ট। যেখানে মিমকে ছাড়াও পরী মেনশন করে পোস্ট করেন রাজ ও রাফীকে।  

রাফীকে মেনশন করে পরী লেখেন, ‘সিনেমার সঙ্গে সঙ্গে দালালিটাও ভালো করেন দেখি!’ আর রাজকে মেনশন করে লেখেন, ‘এটা এতদূর গড়াতে দেয়া উচিত হয়নি তোমার।’

পরীর এমন প্রতিক্রিয়ার দশ ঘণ্টা পর মুখ খুললেন বিদ্যা সিনহা মিম। জানালেন পরীর এমন প্রতিক্রিয়ায় তার অবস্থান ও প্রতিক্রিয়া। মিম বলেন, ‘কখনোই নিজের পেশাদার জীবনের সঙ্গে এমন কিছু যুক্ত করতে দেইনি যা আমার পথচলাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে। আমি জানি আমার পারিবারিক শিক্ষা ও মূল্যবোধ কী। বেড়ে উঠেছি কোন ধরণের পারিবারিক আবহে, আমার চারপাশটা কেমন। এখন যে বা যারা কোনও ধরণের প্রমাণ ছাড়াই আমাকে নিয়ে ভিত্তিহীন কথা বলছে, তাদের প্রতি নিন্দা জানানোর ভাষা জানা নেই। তবে এসবের বাড়াবাড়ি হলে আমি অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’ 

‘পরাণ’ ও ‘দামাল’ সিনেমার সফলতায় বিভ্রান্ত হয়ে পরীমণি এমনটা করছে বলেও ইঙ্গিত দেন মিম। বললেন, ‘‘দুই ছবির আকাশছোঁয়া সাফল্য আমাকে স্বার্থহীন ভালোবাসায় ভাসাচ্ছে। আমি আপ্লুত, অভিভূত। বলতে পারি, জীবনের সেরা সময় পার করছি। ঠিক এই সময়ে একটা পক্ষ আমার পথচলায় ঈর্ষান্বিত হয়ে, আমাকে থামিয়ে দিতে, আমাকে জড়িয়ে নানা ধরণের কুৎসা রটানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। ‌‌‘পরাণ’ ও ‘দামাল’ যে ভালোবাসা আমাকে দিচ্ছে, দেড় দশক আগে ঠিক একইরকম ভালোবাসায় সবাই আমাকে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার বানিয়েছে। সবার ভালোবাসাকে গুরু দায়িত্ব হিসেবে মেনে নিয়ে আমি আমার পেশাদার অভিনয়জীবন গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি, করে যাচ্ছি, আগামীতেও করে যাবো।’’

মিম জানান, অভিনয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) জাতীয় শুভেচ্ছাদূত হিসেবে তিনি কাজ করছেন। শিক্ষক বাবার আদর্শ ও তার মায়ের শেখানো সততাকে সঙ্গী করে দারুণ কিছু কাজ করার চেষ্টা করছেন প্রতিনিয়ত। তাই, কারও মনগড়া কথায় বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করেছেন ভক্তদের প্রতি।

বলতে ভুলেননি সংবাদকর্মীদেরও। মনে করিয়ে দিলেন আইনের কথাও। মিম বলেন, ‘আমার এই দীর্ঘ পথচলায় সংবাদকর্মী ভাইয়েরা সবসময় আন্তরিক সহযোগিতা করেছেন। আপনারাই আমার যাবতীয় কাজ, ভাবনা-চিন্তা সঠিক ও সুন্দরভাবে ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীসহ সবার কাছে তুলে ধরেছেন। তাই আপনাদের সবার কাছে অনুরোধ, কোনেও ধরণের যাচাই-বাছাই না করে বিভ্রান্তিকর কোনও খবর ছড়াবেন না। কোনও ইউটিউব কিংবা নিউজ পোর্টাল যদি আমাকে জড়িয়ে কোনও ধরণের ভিত্তিহীন খবর ছড়ানোর চেষ্টা করে, তাহলে সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধেও প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।’

তবে মিমের মামলার হুমকির বিপরীতে পরীর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।