০১ অক্টোবর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৩:২৬:১৫ অপরাহ্ন


ক্রোয়েশিয়ার সফলতার কারণ কী?
ট্রেন্ড ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০২২-১২-১২ ১৪:৫৭:৩৩
ক্রোয়েশিয়ার সফলতার কারণ কী?


১৯৯১ সালে স্বাধীন হয় মধ্য ও দক্ষিণ ইউরোপের দেশ ক্রোয়েশিয়া। দেশটি স্বাধীনের পর এবারসহ আট বিশ্বকাপ হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টিতেই অংশ নিয়েছে দেশটি। এতেই সফলতা। পাঁচ বিশ্বকাপে তিনবারই সেমিফাইনাল খেলেছে।

১৯৯৮-এর বিশ্বকাপে প্রথম অংশ নেয় ক্রোয়েশিয়া। সেটিতেই বাজিমাত। পৌঁছে সেমিফাইনালে। তবে ফ্রান্সের সঙ্গে হেরে খেলতে হয়েছে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ। প্রথম বিশ্বকাপেই তৃতীয় হয় দলটি। এরপর যত বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছে গ্রুপ পর্ব থেকে বাড়ি ফিরেছে। তবে ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপে আবার কারিশমা। হয়েছে রানার্স আপ। আর এবার পৌঁছেছে সেমিফাইনালে। ১ ডিসেম্বর রাতে খেলবে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে।

মাত্র ৩৮ লাখ মানুষের দেশটির এত অল্প সময়ে এত বড় সফলতা খুব বেশি প্রচার না পেলেও ফুটবলের বিশ্বমঞ্চে তাদেরকে সমীহ করতে হয়। তবে দেশটির ফুটবলে এমন সফলতার কারণ কী? তবে শুধু ফুটবলে নয়, খেলাধুলার অন্যান্য সেক্টরেও দেশটি এগিয়ে বলে জানিয়েছেন কোচ জ্লাতকো দালিচ। তিনি ফুটবলের সফলতার কারণগুলো তুলে ধরেছেন।

 

সহজাত প্রতিভা

এই বিষয়ে দলটির কোচ জ্লাতকো দালিচ বলেন, একটা কারণ হলো, জন্মগতভাবে এখানকার সবার সহজাত ফুটবল প্রতিভা থাকে। এটা অসামান্য। আমরা এই জিনগত বৈশিষ্ট্যের কারণে নিজেদের ধন্য মনে করি। এটা বোঝানোর মতো না। আমরা যদি আমাদের এই জিনগত বৈশিষ্ট্য বোতলে ঢুকিয়ে বিক্রি করতে পারি এটা পৃথিবীর সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত বস্তু হবে।

 

কোচিং

তিনি বলেন, ফুটবল, বাস্কেটবল, হ্যান্ডবল এবং ওয়াটার পোলোর ইয়ুথ টিমগুলোতে অনেক চৌকস কোচরা রয়েছেন। তারা প্রতিটি প্রতিভাবান খেলোয়াড়কে ঘষামাজা করে উন্নত খেলোয়াড়ে পরিণত করেন। আমরা কৌশলগতভাবে আমাদের টেকনিক্যাল কারিকুলাম অনুমোদন দিয়েছি। কোচদেরকে কী করতে হবে এটা থেকে নির্দেশনা পায়।

 

অগাধ দেশপ্রেম

কোচের কথায়, প্রতিটি ক্রোয়েশিয়ানের মধ্যে খেলাধুলার প্রতি আবেগ গেঁথে রয়েছে আর এটি সবাইকে একত্রে আবদ্ধ করে। আমরা যখন লড়ি তখন দেশের জন্য সর্বোচ্চ ভালোবাসা প্রকাশ করি।

এই কোচ আরও বলেন, এটি বিভিন্ন খেলার মাধ্যমে বিশ্বকে দেখানোর সুযোগ যে আমরা আছি। আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় অ্যাম্বাসেডর হলো খেলোয়াড়রা। ক্রোয়েশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করা মহৎ অনুপ্রেরণার। এখানে অনেক কিছুই গর্ব করার মতো। যুদ্ধসহ আমাদের এখানে যা হয়েছিল, সবকিছুই আমাদের জাতীয় শক্তি বাড়িয়েছে। আমাদের সন্তানদের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার শিক্ষা দিতে হয় না। এটা আমাদের জাতীয় গর্ব।