০১ অক্টোবর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৩:৩৯:৩৬ অপরাহ্ন


‘ফারাজ’ নিয়ে অবিন্তার মায়ের প্রতিবাদ
আগন্তুক আলেয়া
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০২৩-০১-২০ ০২:১৭:৩৯
‘ফারাজ’ নিয়ে অবিন্তার মায়ের প্রতিবাদ অবিন্তার মা, ‘ফরাজ’ পোস্টার ও অবিন্তা


২০১৬ সালের ১ জুলাই ঢাকার গুলশানে ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। তবে সেদিন সেখানে কী ঘটনা ঘটেছিল তার বিস্তারিত এখনও অজানা। কিসের ভিত্তিতে তাহলে ভারতীয় স্বনামধন্য চলচ্চিত্র পরিচালক এই ‘ফারাজ’ ছবিটি নির্মাণ করেছেন? 

এমন প্রশ্ন রেখেছেন সেদিন জঙ্গি হামলায় নিহত অবিন্তা কবিরের মা রুবা আহমেদ। এই সিনেমায় সেদিনের প্রকৃত ঘটনা উঠে আসবে না বলেও আশঙ্কা তার।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর শাহজাদপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেতে যাওয়া এই মুভির বিষয়ে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে বেশকিছু বিষয় তুলে ধরেন রুবা আহমেদ।

তিনি বলেন, আমি আমার মেয়েকে ২০১৬ সালের ১ জুলাই হারিয়েছি। কিভাবে গেছে, কোন ঘটনাতে গেছে, সেটা না আসাই ভালো। আমার কাছে মনে হয়েছে, আমার সন্তান, আরেকজনের সন্তান এখানে ২২টি পরিবারের কেউ না কেউ গেছে। যারা চলে গেছে তাদেরকে আসলে সেভাবে সম্মানটা দিয়ে সেখানেই রেখে দেওয়া উচিত। আজকে এতো বছর পর একটি সিনেমা রিলিজ হতে যাচ্ছে, তাও আবার ভারতীয় সিনেমা। যে দেশে ছবিটি হয়েছে, সেদেশে ঘটনাটি ঘটেনি। ঘটেছে আমাদের এই বাংলাদেশে।

অবিন্তার মা আরও বলেন, ২০১৯ সালের শেষের দিকে আমি জানতে পারি হলি আর্টিজানের ঘটনা নিয়ে একটি সিনেমা হচ্ছে। তখন থেকে চেষ্টা করেছি বিভিন্নভাবে উকিল নোটিশ দিয়ে সিনেমাটির কার্যক্রম থামানোর জন্য। ২০২০ সালে যখন করোনা শুরু হলো সে সময় পুরো দুনিয়া অন্যরকম হয়ে গিয়েছিল। আমার ধারণা ছিল, সেই সিনেমাটির নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। নিজেকে নিজেই বুঝানোর চেষ্টা করেছি, ভালোই হলো। করোনার কারণে সিনেমার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ২০২১ সালের ৫ আগস্ট এই সিনেমার পোস্টার পাই। তখন বুঝেছি নির্মাণ কাজ আসলে বন্ধ হয়নি। তখন থেকে আজকের দিন পর্যন্ত মুভিটি বন্ধ করার জন্য দিল্লি হাইকোর্টে মুভ করেছি। এখনও আমার মামলার কার্যক্রম চলছে। যারা সিনেমাটি বানিয়েছেন তারা ভারতের নামিদামি প্রযোজক, পরিচালক। তাদের সঙ্গে আমি ফাইট করে যাচ্ছি।

অবিন্তার মা বলেন, সিনেমাটির নাম ‘ফারাজ’ হয়েছে। তার মানে ডেফিনিটলি একটি ক্যারেক্টারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। সেই ক্যারেক্টারকে জোর দিতে গিয়ে আমার মেয়ের কথা চলে এসেছে। আমরা জানি না সেদিন আমার সন্তান এবং অন্যরা কিসের মধ্য দিয়ে গিয়েছিল। কেউ আমরা জানি না। কোনদিন আমরা জানতেও পারবো না। সে কারণে আমরা একটি গল্প বানালাম সেই গল্প বানিয়ে মুভিটা তৈরি করলাম। কিন্তু এই মুভির সঙ্গে যে পরিবারগুলো আছে তাদের কাছ থেকে তো কনসেন্ট নিতে হবে। আমাদের কাছ থেকে তো কোনও কনসেন্ট নেওয়া হলো না।

তিনি বলেন, আমি কোর্টে যাওয়ার পর বলেছিলাম, আমাকে প্রি স্ক্রিনিংয়ের সুযোগ দেওয়ার জন্য। তখন আমাকে জানানো হয়েছিল এই সুযোগ দেওয়া হবে। কিন্তু পরে আর দেওয়া হয়নি। ক্যারেক্টার এজেম্বলেশন আছে কিনা জানতে চাইলে তারা জানালো নেই। আমার মেয়ের নাম ব্যবহার করা হয়েছে কিনা জানতে চাওয়া হলে তখন বললো, করা হয়নি। সবই যদি ব্যবহার করা না হয়ে থাকে তাহলে মুভিটার মধ্যে কী আছে?

হানসাল মেহেতার সাথে আমার কথা হয়েছে। আমার প্রশ্ন ছিল তুমি আমার দেশের মানুষকে কিভাবে জানো? তুমি তো বাঙালি না। অন্য দেশের মানুষ হয়ে তুমি তো আমার দেশের মানুষকে জাজ করতে পারো না। তিনি অপমান বোধ করেছেন, করে থাকলেও আমার তখন আর করার কিছু ছিল না এ কথা বলা ছাড়া।


That's why they are not on social media!