০১ অক্টোবর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১১:০৭:২০ পূর্বাহ্ন


অচল পয়সা যখন মূল্যবান গহনা
ট্রেন্ড ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০২২-১২-১১ ০১:১৩:০৪
অচল পয়সা যখন মূল্যবান গহনা ফ্যাশন স্টোরের মালিক রিমা মাওলায়ি এল-সামাদ এবং গহনা নির্মাতা নিসরিনে ডাসসৌকি হাফফার/ ছবি: রয়টার্স


অচল পয়সা দিয়ে মূল্যবান গহনা—ভাবা যায় না। তবে এমন ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে লেবান। যে দেশটিতে অচল পয়সা দিয়ে বানানো হয় মূল্যবান সব গহনা।

সম্প্রতি অর্থনৈতিকভাবে বেজায় দুর্দশায় পড়েছে লেবানন। ডলারের বিপরীতে দেশটির মুদ্রার মান নেমে এসেছে দেড় হাজার লেবানিজ পাউন্ডে। তাই দেশটির পয়সাগুলো সেখানকার মার্কেটে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। দেশটির ২৫০ এবং ৫০০ লেবানিজ পাউন্ড এখন সেখানকার দোকানগুলোতে একদমই চলছে না।

ব্যবহার বন্ধ হলে এসব পয়সা যাতে হারিয়ে না যায়, তাই এগুলো সংরক্ষণ করতে এক অন্যরকম উপায় বের করেছেন ফ্যাশন স্টোরের মালিক রিমা মাওলায়ি এল-সামাদ এবং গহনা নির্মাতা নিসরিনে ডাসসৌকি হাফফার।

সামাদ ও হাফফার এই পয়সাগুলো দিয়ে তৈরি করছেন ব্রেসলেট, কানের দুল, চেইন, কাফলিংকসহ নানা জিনিস। একটি সাধারণ পয়সার ব্রেসলেট সেখানে বিক্রি হচ্ছে দেড় লাখ লেবানিজ পাউন্ড বা ৩ দশমিক ৮৫ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪০০ টাকা।

এ প্রসঙ্গে ফ্যাশন স্টোরের মালিক রিমা মাওলায়ি এল-সামাদ জানান, গর্বের সঙ্গে এই পয়সাগুলো তিনি সংরক্ষণ করতে চান। তিনি বলেন, ‘একসময় ২৫ লেবানিজ পাউন্ড দিয়ে আমার মা-বাবা একটা বাড়ি কিনেছিলেন। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে আমাদের এসব কয়েন এখন মূল্যহীন হয়ে পড়েছে, হারিয়ে যেতে বসেছে। আমি এই কয়েনগুলোর প্রতি আমার সমর্থন বজায় রাখতে চাই এবং গর্বিতভাবে এগুলোকে সাজিয়ে রাখতে চাই।’

অন্যদিকে, অচল এই পয়সাগুলো জমিয়ে রাখছেন এন্তোইনি সাব নামে বৈরুতের এক মুদি দোকানের মালিক। তিনি তার পরবর্তী প্রজন্মকে দেখাতে চান, একসময় কেমন ছিল লেবানিজ পাউন্ড।

সূত্র: রয়টার্স