০১ অক্টোবর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০১:২০:০৭ অপরাহ্ন


সূর্যোদয়ের দেশে আনন্দাশ্রু
ট্রেন্ড ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০২২-১২-১১ ০১:১৩:০৪
সূর্যোদয়ের দেশে আনন্দাশ্রু


কাতারে বিশ্বকাপ ফুটবলে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে ২-১ গোলে  স্পেনকে হারানোর পর উল্লাসে মেতেছে জাপান। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে জাতীয় দলের জয়ের পর অনেক জাপানির চোখে পানি চলে আসে। গ্রুপে প্রথম ম্যাচে বিশ্বকাপ জয়ী জার্মানির পর আরেক ফুটবল পরাশক্তি স্পেনকে স্তব্ধ করে দেওয়া এশীয় দেশটি উল্লাসে মেতে ওঠবে, আনন্দাশ্রু দেখা যাবেএমনটিই তো স্বাভাবিক।

জার্মানিকে হারিয়ে অঘটন দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল জাপান। শেষ ম্যাচে স্পেনকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শেষ ১৬-তে স্থান করে নিয়েছে দেশটি। দ্বিতীয় পর্বে এর আগে তিনবার ওঠেছে দলটি। কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে তারা ২০১৮ সালে রানার্স-আপ ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হবে।

একটি অনলাইন নিউজপেপার শিরোনাম করেছে, দোহা আবারও রঙিন!, এর মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমটি জার্মানদের বিরুদ্ধে জাপানের খেলার পর দোহায় মিরাকল শিরোনামের কথা মনে করিয়ে দিল।

সূর্যোদয়ের আগেই  রাজধানী টোকিওতে নিপ্পন স্লোগানে ঐতিহ্যবাহ শিবুয়া মোড়ে জড়ো জন জাপানিরা। লাফাতে লাফাতে তারা চিৎকার করছিলেন, লড়াউ, লড়াই, লড়াই!। পুলিশ হিমশিম খাচ্ছিলো তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে।

১৯ বছর বয়সী ইউসেই সাতোর কণ্ঠে অবিশ্বাস। আমি কখনও ভাবিনি জাপান গ্রুপ পর্ব পাড়ি দেবে। ধন্যবাদ জাপান! আমি তোমাদের ভালোবাসি,  জাতীয় দলের সামুরাই নীল রঙের জার্সি পরে বলছিলেন তিনি।

রেফারির শেষ বাঁশিতে জাপানে জয় নিশ্চিত হওয়া দেখে আনন্দে কেঁদে ফেলেন ২৩ বছর বয়সী তাকুইয়া কুদো। নিজের আনন্দের কথা ভাষায় প্রকাশ করতে গিয়ে বললেন, আমি খুব খুশি। সত্যি কথা হলো আমি ভাবিনি জাপান এতো ভালো করবে। আমি  আসলেই রোমাঞ্চিত।

সোশাল মিডিয়াতেও আনন্দের বিস্ফোরণ। সামুরাই নীল!, পিছিয়ে পড়ে জয়! লিখে ফুটবলারদের ছবি প্রকাশ করে আনন্দ প্রকাশ করছিলেন  অনেক  ব্যবহারী।

জাপানের টেনিস খেলোয়াড় নাওমি ওসাকা, এমনকি ইলন মাস্কও জাপানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাও বাদ যাননি দলকে অভিনন্দন জানানো থেকে। জাতীয় দলের কোচ ও ফুটবল সংস্থার প্রধানকে ফোনে অভিনন্দন জানানোর পর টুইটারে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, আমি তাদের বলেছি তারা জাপানিদের সাহস ও শক্তি দিয়েছেন। শেষ ১৬-এর অপেক্ষায় আমরা। লড়াই জারি রাখো জাপান।

সূত্র: রয়টার্স