০১ অক্টোবর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৩:২৭:২৪ অপরাহ্ন


কাঁদলেন হিগুয়েইন, নিয়েছেন বিদায়
সৈয়দ ইমরুল সামাদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০২২-১২-১১ ০১:১৩:০৪
কাঁদলেন হিগুয়েইন, নিয়েছেন বিদায়


মাত্র ৩৪ বছর বয়স। অথচ তার চেয়ে ঢের বয়সী অনেক খেলোয়াড়ই দাপটের সঙ্গে মাঠে আছেন এখনও। এমনও না, তিনি ভুগছেন দম বা ছন্দহীনতায়। রেকর্ড বলছে, শেষ ১৪ ম্যাচে করেছেন ১২ গোল! অথচ সেই গঞ্জালো হিগুয়েইন বিদায় জানালেন পেশাদার ফুটবলকে।

ফুটবল বিশ্বের কাছে এ বিদায় অবিশ্বাস্য! সম্ভবত মানতে কষ্ট হচ্ছিলো তারও। তাই তো বিদায়বেলায় কান্নায় ভেঙে পড়েন এ আর্জেন্টাইন তারকা।

সোমবার (৩ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে অবসরের ঘোষণা দিতে গিয়ে হিগুয়েইন বলেন, ‘পেশাদার ফুটবলে সাড়ে সতেরো বছর দারুণভাবে কাটানোর পর অনুভব করছি যে, বিদায় বলার সময় এসেছে। ফুটবল আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। আপনাদের অনেক ধন্যবাদ যারা সবসময় আমাকে বিশ্বাস করেছেন।’

সিদ্ধান্তটি অনেক আগেই ক্লাবকে জানিয়েছিলেন বলে জানান তিনি। বলেন, ‘তিন-চার মাস আগেই আমি ক্লাবকে (অবসরের ব্যাপারে) বলেছিলাম, তখন থেকেই জানতাম এমন দিন আসছে। আমি কয়েক বছর ধরেই এ নিয়ে ভাবছিলাম। আমি এখানে (মিয়ামি) এসেছিলাম ফুটবল উপভোগ করার জন্য, আমার জীবনের আনন্দের জন্য, আমার ভাই ফেডের কাছাকাছি থাকার জন্য।’

‘এটা (মিয়ামি ক্যারিয়ার) আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম একটি পর্যায় ছিল। আমি আপনাদের বলতে পারি যে আমার ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্তগুলোর একটি ছিল এখানে। এই ক্লাব, আমার সতীর্থরা এবং কোচিং স্টাফরা আমাকে ফুটবল খেলার ইচ্ছা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। আমি এখন অবসর নিতে পারি।’ যোগ করেন হিগুয়েইন।

জন্ম ফ্রান্সে হওয়ায় ফরাসি দলে ডাক পেয়েছিলেন হিগুয়েইন। কিন্তু বেছে নেন বাবার দেশ আর্জেন্টিনাকে। প্রথম ম্যাচেই পেরুর বিপক্ষে হারের মুখে থাকা দলকে বাঁচিয়েছেন দারুণ এক গোল করে। তবে জাতীয় দলে পথটা মসৃণ হয়নি। ব্রাজিল বিশ্বকাপের ফাইনালে সহজ সুযোগ মিস না করলে হয়তো ইতিহাসটা লেখা হতো ভিন্নভাবে। এরপর দুটি কোপা আমেরিকার ফাইনালেও সহজ মিস করলে ভিলেন বনে যান আর্জেন্টাইনদের কাছে। রাশিয়া বিশ্বকাপের পর আর ডাক মেলেনি জাতীয় দল থেকে।

দিয়াগো ম্যারাডোনার অধীনে ২০০৯ সালে জাতীয় দলে অভিষেক হয় হিগুয়েইনের। তখন থেকে ২০১৮ পর্যন্ত মোট ৭৫টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। খেলেছেন ৩টি বিশ্বকাপ ও ৩টি কোপা আমেরিকা কাপ। ২০১০, ২০১৪ এবং ২০১৮ বিশ্বকাপে একটি হ্যাটট্রিকসহ গোল করেছেন ৫টি। আর্জেন্টিনার ইতিহাসের ষষ্ঠ সর্বোচ্চ ৩১টি গোল তার দখলে। 

রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্তাস, নাপোলি, চেলসির মতো ক্লাবে খেলা এ তারকার ক্লাব ক্যারিয়ারও দুর্দান্ত। ৭০৮ ম্যাচে করেছেন ৩৩৩টি গোল।